বাসস
  ১৮ জুন ২০২৫, ১৪:২৮

ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ চাইলেন ট্রাম্প

ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার তেহরানের কাছ থেকে 'নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের' দাবি করেছেন। ইরান ও মার্কিন মিত্র ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে।

এই মন্তব্যের ফলে ওয়াশিংটন ইসরাইলের হামলায় যোগ দেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও জোর দিয়ে বলা হয়েছে এই অভিযানে তাদের কোনও হাত নেই।

সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান মঙ্গলবার পশ্চিম ইরানে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনা লক্ষ্য করে কমপক্ষে দুটি হামলা চালিয়েছে। 

সামরিক বাহিনী আরও বলেছে যে তারা, প্রাথমিক আকস্মিক আক্রমণে পূর্বসূরী গোলাম আলী রশিদ হত্যার মাত্র চার দিন পর তেহরানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কমান্ড সেন্টার-এ গত রাতের আর এক হামলায় সিনিয়র ইরানি কমান্ডার আলী শাদমানিকে হত্যা করেছে।

ইসরাইলের নতুন হামলার পর ইরান থেকে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু হয়। তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ডিমোনা, যেখানে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত, সেখানে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। 

তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বক্তব্যের কয়েকদিন পর, ট্রাম্প ইসরাইলকে শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার পথ পরিবর্তন করেছেন বলে মনে হচ্ছে।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্য কমে আসছে, তবে 'আপাতত' ইরানের সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাদের নেই। তিনি ইরানের প্রতি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান। খামেনি ইরানের কোথায় আছেন সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তথ্য আছে বলেও জানান ট্রাম্প। প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, খামেনি 'আপাতত' নিরাপদ আছেন।

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে  আরো বলেছেন, ‘আমরা চাই না, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর কিংবা আমেরিকার সেনাদের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হোক। 

সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনা করার জন্য মঙ্গলবার ট্রাম্প এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে কোনও প্রকাশ্য বিবৃতি ছাড়াই এক ঘন্টা ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়।