শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র আরো ৩৬টি দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে, যা প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মানুষের প্রবেশ নিষেধাজ্ঞার নাটকীয় সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সোমবার এ সংক্রান্ত অভ্যন্তরীনণ স্মারকলিপি প্রত্যক্ষ করা একব্যক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে পররাষ্ট্র দপ্তর ঘোষণা করেছে যে তারা আফগানিস্তান, হাইতি ও ইরানসহ মোট ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করছে এবং আরও সাতটি দেশের ভ্রমণকারীর ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের একটি বিভেদমূলক পদক্ষেপ পুনরুজ্জীবিত করেছে।
তবে অভিবাসনের ওপর প্রেসিডেন্টের সম্প্রসারিত কঠোর ব্যবস্থার আওতায় মিশরের মতো মার্কিন অংশীদার এবং আফ্রিকা, এশিয়া, ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশসহ আরও তিন ডজন দেশে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণ করা হবে বলে মনে হচ্ছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে যে তারা অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপিটি পর্যালোচনা করে জানা গেছে যে এটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্বাক্ষর করেছেন এবং দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করা কূটনীতিকদের কাছে এটি পাঠানো হয়েছে।
নথিটি প্রত্যক্ষ ব্যক্তিটি এএফপিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এটি তালিকাভুক্ত দেশগুলোর সরকারকে পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিষ্ঠিত নতুন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য ৬০ দিন সময় দিয়েছে বলে জানা গেছে।
দেশগুলোর মধ্যে আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও তানজানিয়ার পাশাপাশি কম্বোডিয়া, কিরগিজস্তান, সেন্ট লুসিয়া, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া ও ভানুয়াতু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
যদি স্মারকলিপিতে উল্লিখিত সমস্ত দেশ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নিষেধাজ্ঞাটি সম্প্রসারিত করা হয়, তবে বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচজনের মধ্যে একজন মার্কিন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু হবেন।