বাসস
  ১৫ জুন ২০২৫, ১৭:৫১

ইসরাইল-ইরান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে সতর্কবার্তা এরদোগানের

ঢাকা, ১৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে ‘ভয়াবহ যুদ্ধ’ বেঁধে গেলে তা বড় ধরনের শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে। শনিবার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক ফোনালাপে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান। 

ইস্তাম্বুুল থেকে এএফপি জানায়, এরদোগান তার ইরানি সমকক্ষ মাসুদ পেজেশকিয়ানকে বলেছেন, ইসরাইল পুরো অঞ্চলকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলার চেষ্টা করছে। এটি সকলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।

ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে মিসাইল ও ড্রোন হামলা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এরদোগান জানিয়েছেন, আমাদের অঞ্চল আর কোনো সংকট নিতে পারবে না। এই বিধ্বংসী যুদ্ধ অভিবাসন সমস্যা সৃষ্টি করবে, যা সবার জন্য হুমকি হবে।

তুরস্ক ইতোমধ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এছাড়া, ইরান থেকে রাজনৈতিক কারণে পালিয়ে আসা লোকেরাও রয়েছে। এতে তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।

এরদোগান সৌদি যুবরাজকে বলেন, ইসরাইলকে ‘অবশ্যই থামাতে হবে’। তিনি ইসরাইলকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি’ হিসেবেও অভিহিত করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয় কেবল শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।’

এরদোগান আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ বন্ধ করে রাখায়, ইসরাইল আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনে এতদূর পোঁছেছে।’

তিনি জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন।

এরপর তার কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও তিনি সমর্থন দিয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে লিখেছেন, তিনি এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা একমত হয়েছেন যে, ‘ইসরাইলের ইরানের ওপর অপ্রত্যাশিত আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি।’

গত শুক্রবার ইসরাইল ইরানের ওপর এক নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাসহ পরমাণু বিজ্ঞানী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিহত হন। তেহরান দাবি করেছে, হামলায় ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে।

জবাবে ইরান ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায়, এতে তিনজন নিহত ও ৭০ জনের বেশি আহত হয়।