বাসস
  ১৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩৫

ইরানকে ৬০ দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন ট্রাম্প

ঢাকা, ১৪ জুন, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের উচিত ছিল আমার কথা শোনা। আমি তাদের ৬০ দিনের সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, কিন্তু গতকাল শুক্রবার ছিল ৬১তম দিন। শুক্রবার ভোরেই ইরানের মাটিতে ইসরাইলের ব্যাপক হামলার পর এ কথা বলেছেন তিনি। 

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি বছরের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লেখা এক চিঠিতে ট্রাম্প পরমাণু আলোচনা সফল করার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন।

সিএনএন’কে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, অনেক দেরি না হওয়ার আগেই তাদের এখন আলোচনার টেবিলে এসে চুক্তিতে পৌঁছানো উচিত। অন্যথায় তাদের জন্য অনেক দেরি হয়ে যাবে। ঠিক তাই হয়ে গেল।

ইসরাইলি হামলায় নিহত ইরানের শীর্ষ কমান্ডারদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘আমি যাদের সাথে কথা বলেছিলাম তারা সবাই মারা গেছে।’

সাংবাদিক প্রশ্ন করেছেন গত রাতে ইসরাইলের আক্রমণের ফলে কি এটা হয়েছে? জবাবে ট্রাম্প ব্যঙ্গাত্মকভাবে বলেছেন, ‘তারা রোগ-বালাইয়ে মারা যায়নি; তারা কোভিডের কারণেও মারা যায়নি।’

ট্রাম্প ইরানের ওপর হামলাকে ‘অত্যন্ত সফল আক্রমণ’ বলেও অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা অবশ্যই ইসরাইলকে সমর্থন করি এবং ভবিষ্যতেও করবো।। স্পষ্টতই এবং এমনভাবে সমর্থন করেছি, যেমনভাবে কেউ কখনো সমর্থন করেনি।

ট্রাম্প যে ৬০ দিনের সময়সীমা উল্লেখ করেছেন, সেটি কী?

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ১২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে প্রথম দফা আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে ঘড়ির কাঁটা শুরু হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার ৬০ দিনের সীমা অতিক্রম করেছে।

ট্রাম্প ‘ফক্স নিউজ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খামেনির কাছে লেখা চিঠির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আমি তাদের একটি চিঠি লিখেছি, যেখানে বলা হয়েছে, আমি আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, যদি আমাদের সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তবে এটি তাদের জন্য একটি ভয়াবহ বিষয় হবে। আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন। কারণ, এটি ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইরান চুক্তি আলোচনা ৬০ দিনের সময়সীমার পরেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এখন ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ইসরাইলের হামলার পর আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এখনো চাপ দিচ্ছেন।