বাসস
  ১০ জুন ২০২৫, ১৫:০০

প্রশান্ত মহাসাগরে প্রথমবার দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী দেখা গেছে : টোকিও

ঢাকা, ১০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জাপান মঙ্গলবার জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী প্রশান্ত মহাসাগরে সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে। এটি বেইজিংয়ের দূরবর্তী এলাকায় সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। 

টোকিও থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে। 

সোমবার, চীনের ‘শানদং’ রণতরী ও আরো চারটি যুদ্ধজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের প্রত্যন্ত ওকিনোটোরি প্রবালদ্বীপের কাছে জাপানের অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রবেশ করেছে বলে জানায় জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যার মধ্যে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী জাহাজও রয়েছে। জাহাজগুলো থেকে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণ করে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানায়, শনিবার চীনের ওই পাঁচটি যুদ্ধজাহাজের বহরকে তাইওয়ানের কাছে মিয়াকো দ্বীপ থেকে ৫৫০ কিলোমিটার (৩৪০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্ব দিকে যাত্রা করতে দেখা গেছে।

চীনের আরেকটি সক্রিয় বিমানবাহী রণতরী ‘লিয়াওনিং’ ও তার বহরও গত সপ্তাহের শেষ দিকে জাপানের ইইজেড-এ প্রবেশ করেছিল। পরে তারা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে সেখানে থেকে বেরিয়ে যায়।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মঙ্গলবার এএফপি’কে বলেছেন, প্রথমবারের মতো প্রশান্ত মহাসাগরে একসাথে দু’টি চীনা বিমানবাহী রণতরী সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেল।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের বিশ্বাস, চীনের উদ্দেশ্য হচ্ছে দূরবর্তী এলাকায় তাদের সামরিক কার্যক্ষমতা ও অভিযানের সক্ষমতা উন্নত করা।

চীনের এ ধরণের নৌ ও বিমান কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে এর মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

জাপান ও মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মতে, চীন চায় যুক্তরাষ্ট্রকে তথাকথিত  ‘প্রথম দ্বীপমালা’ অঞ্চল (জাপান থেকে শুরু করে ফিলিপাইন পর্যন্ত) থেকে সরিয়ে দিতে।

চূড়ান্তভাবে, চীনের লক্ষ্য হচ্ছে ‘দ্বিতীয় দ্বীপমালা’ অঞ্চলের পশ্চিমাংশে প্রভাব বিস্তার করা। যা জাপানের ওগাসাওয়ারা দ্বীপপুঞ্জ থেকে শুরু করে মার্কিন ভূখণ্ড গুয়ামের পর্যন্ত বিস্তৃত।

সম্প্রতি চীনের ‘লিয়াওনিং’ রণতরী দ্বিতীয় দ্বীপমালা পেরিয়ে যাওয়ার ঘটনায় জাপান প্রথমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে  জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ।

গত সেপ্টেম্বরে, ওই রণতরী তাইওয়ানের নিকটবর্তী দু’টি জাপানি দ্বীপের মধ্য দিয়ে জাপানের সংলগ্ন জলসীমায় প্রবেশ করেছিল, যা উপকূল থেকে ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত।

টোকিও সেই সময় এই ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করে বেইজিংয়ের প্রতি ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিল।

আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় কোনো রাষ্ট্র তার উপকূল থেকে ২শ’ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অর্থনৈতিক জলসীমার মধ্যে প্রাকৃতিক সম্পদ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর অধিকার রাখে।