শিরোনাম
ঢাকা, ১০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বলিভিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল সোমবার বলেছেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদ’-এর তদন্ত শুরু করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আগস্টের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধাজ্ঞা জারির পর তার সমর্থকদের রাস্তা অবরোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রজার মারিয়াকা সাংবাদিকদের বলেছেন, তার অফিস মোরালেসের বিরুদ্ধে সরকারের দায়ের করা ‘এই অভিযোগ স্বীকার’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোরালেসের সমর্থকরা এই মাসে বেশ কয়েকদিন ধরে লা পাজে গুরুত্বপূর্ণ খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল।
লা পাজ থেকে এএফপি এ খবর জানায়
বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট এবং ল্যাটিন আমেরিকার দীর্ঘতম সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা নেতাদের একজন মোরালেস। ১৩ বছরের ক্ষমতার দখল দীর্ঘস্থায়ী করার চেষ্টা করার পর ২০১৯ সালে এক নীরবে পদত্যাগ করেন।
তারপর থেকে সাংবিধানিক আদালত বলিভিয়ার দুই মেয়াদের সীমা বহাল রেখেছে। যা মোরালেস আগে এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
গত মাসে, সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ১৭ আগস্টের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে নিজেকে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলে নির্বাচনী কর্মকর্তারা তার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি অডিও বার্তায় মোরালেস দেশটির কৃষিপ্রধান অঞ্চলের সমর্থকদের প্রতিবাদে লা পাজের দিকে যাওয়া দু’টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার প্রচারণায় বলা হয়েছে, অডিওটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু গত সপ্তাহে, সরকার সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদ, অপরাধের জন্য জনসাধারণের উস্কানি এবং জনসেবা সুরক্ষার ওপর আক্রমণ’ এর জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। রাস্তা অবরোধ অভিযানের কারণে দৈনিক ১৫ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
বলিভিয়ায় ‘সন্ত্রাসবাদ’ অপরাধের জন্য ১৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
- ‘প্রচুর ফলোয়ার’ -
বলিভিয়ানদের কাছে কেবল ইভো নামে পরিচিত মোরালেস চরম দারিদ্র্য থেকে উঠে এসে একজন ক্রুসেডর বামপন্থী প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠেন যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নাটকীয় দারিদ্র্য হ্রাসের তত্ত্বাবধান করেছিলেন।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে, বিশেষ করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে তার বিশাল অনুসারী রয়েছে।
মোরালেসকে ভোটে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার দাবিতে চলমান বিক্ষোভ, মুদ্রা, জ্বালানি, ওষুধ এবং খাদ্যের তীব্র ঘাটতির কারণে তৈরি গভীর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের ভূমিকার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিদ্রোহে রূপ নিয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মোরালেসের মিত্র থেকে শত্রুতে পরিণত আর্সকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আর্স তখন থেকেই ঘোষণা করেছেন, তিনি পুনরায় নির্বাচন করবেন না।
২০১৫ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন এক কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে সন্তানের বাবা হওয়ার অভিযোগে একজন নাবালককে পাচারের অভিযোগেও মোরালেসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তিনি নিজেকে বিচারিক নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করেছেন এবং এপ্রিল মাসে এএফপি’কে বলেছেন, তিনি ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় পিছু হটবেন না।