শিরোনাম
ঢাকা, ১০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, তীব্র সামরিক তৎপরতার কারণে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এখনো পরিচালিত কয়েকটি হাসপাতালের মধ্যে গাজার আল-আমাল হাসপাতালটি এখন ‘প্রায়শই পরিষেবার বাইরে’। গতকাল সোমবার তিনি একথা বলেছেন।
জেনেভা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসূস এক্সে-এক পোস্ট বার্তায় বলেছেন, ‘হাসপাতালে প্রবেশাধিকার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, নতুন রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আরো প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর দিকে পরিচালিত হচ্ছে’।
টেড্রোস বলেছেন, একটি স্থানীয় ও অন্যটি আন্তর্জাতিক এই দু’টি জরুরি চিকিৎসা দল ‘এখনো হাপাতালের প্রাঙ্গণে সীমিত চিকিৎসা সরবরাহ দিয়ে অবশিষ্ট রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেছেন, ‘আল-আমাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স এখন খান ইউনিসে একটি নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটসহ একমাত্র হাসপাতাল।’
৫ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যারা দুই মাস ধরে সম্পূর্ণ অবরোধের পর ওষুধ এবং চিকিৎসা সরবরাহের গুরুতর ঘাটতির কারণে এখনো আসছে আল-নাসের এবং আল-আমাল হাসপাতালগুলো আহতদের সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা করতে অক্ষম।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কিছু মানবিক সহায়তার অনুমতি দিয়েছে, তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ওপর হামাসের হামলার ফলে শুরু হওয়া প্রায় ২০ মাসের বিরামহীন যুদ্ধ বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর মানবিক সংকটের তৈরি করেছে। সেখানে বেসামরিক লোকেরা বোমাবর্ষণ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং ক্ষুধার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।