বাসস
  ০৮ জুন ২০২৫, ১০:১৯

আইসিসি বিচারকদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ইইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) চার বিচারকের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

সেই সঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতিতে আদালতকে ‘সম্পূর্ণ সমর্থন’র প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংগঠনটি। 

দ্য হেগ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

গত বৃহস্পতিবার  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই ঘোষণা দেন।

নিষেধাজ্ঞার শিকার চার বিচারক হলেন উগান্ডার সোলোমি বালুঙ্গি বোসা, পেরুর লুজ দেল কারমেন ইবানেজ কারানজা, বেনিনের সোফি আলাপিনি গ্যানসো ও স্লোভেনিয়ার বেটি হোহলার।

আইসিসি এই পদক্ষেপকে আদালতের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা বলেছে, আইসিসি লাখো নির্যাতিত মানুষের কাছে ন্যায়বিচারের প্রতীক।

ইইউ কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন বলেছেন, আইসিসি’র কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। আদালত গুরুতর অপরাধের বিচার করে এবং ভুক্তভোগীদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরে।

জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, বিচারকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আইনের শাসনের পরিপন্থী। তিনি তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আইসিসি’কে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের ‘ভিত্তিপ্রস্তর’ আখ্যা দিয়ে এর স্বাধীনতা রক্ষার দাবি জানান।

বিচারপতি বোসা ও ইবানেজ ২০১৮ সাল থেকে আইসিসিতে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২০ সালে তারা আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অনুমোদনের সিদ্ধান্তে যুক্ত ছিলেন।

পরে ২০২১ সালে আদালত মার্কিন বাহিনীর পরিবর্তে তালেবান ও আফগান বাহিনীর অপরাধের ওপর গুরুত্ব দেয়।

২০২৩ সালের নভেম্বরে নেতানিয়াহু, সাবেক প্রতিরক্ষাপ্রধান গ্যালান্ট ও হামাস নেতা ইব্রাহিম আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আইসিসি বিচারকরা।

মার্কো রুবিও দাবি করেছেন, বিচারক আলাপিনি গ্যানসো ও হোহলার এই সিদ্ধান্তে ভূমিকা রেখেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালেও ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান ইস্যুতে তৎকালীন প্রধান কৌঁসুলি ফাতু বেনসৌদার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল।

চলতি বছরের শুরুতে আইসিসি’র বিরুদ্ধে আরো শাস্তিমূলক পদক্ষেপের পক্ষে ভোট দেয় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানার প্রতিবাদেই এ পদক্ষেপ নেয় তারা।