শিরোনাম
ঢাকা, ৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : সুইডিশ জলবায়ু প্রচারক গ্রেটা থানবার্গসহ ১২ জন মানবাধিকার কর্মীকে নিয়ে একটি সাহায্যকারী জাহাজ মিশরীয় উপকূলে পৌঁছেছে এবং অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের কাছাকাছি পৌঁছেছে। শনিবার আয়োজকরা এ কথা জানিয়েছেন।
কায়রো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা জোটের অংশ ম্যাডলিন গত সপ্তাহে সিসিলি থেকে ত্রাণ সরবরাহের একটি কার্গো নিয়ে ‘গাজার ওপর ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার জন্য’ রওনা হয়েছিল।
জার্মান মানবাধিকার কর্মী ইয়াসেমিন আকার এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা এখন মিশরীয় উপকূল থেকে যাত্রা করছি।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি।’
শনিবার লন্ডন থেকে এক বিবৃতিতে গাজা অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক কমিটি জানিয়েছে, জাহাজটি মিশরের জলসীমায় প্রবেশ করেছে।
দলটি জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা আন্তর্জাতিক আইনি ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখছে। সতর্ক করে দিয়েছে কোনো বাধা ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হবে।
জাহাজে থাকা ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসান সরকারগুলোকে ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলার জন্য নিরাপদ পথ নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাসের আক্রমণের আগেও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ইসরাইলি নৌ অবরোধের অধীনে ছিল। ইসরাইল অতীতে সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ও তাদের অবরোধ কার্যকর করেছে।
২০১০ সালে তুরস্কের জাহাজ মাভি মারমারার পের কমান্ডো অভিযানে ১০ জন বেসামরিক লোকের মৃত্যু হয়। জাহাজটি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করার সময় একই রকমের একটি ত্রাণ ফ্লোটিলার অংশ ছিল।
মে মাসে কনসায়েন্স নামের আরেকটি ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজ গাজা যাওয়ার পথে ড্রোন হামলার শিকার হওয়ার হয়। যার ফলে সাইপ্রাস এবং মাল্টা তাদের দুর্দশার ডাকে সাড়া দিয়ে উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায়। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এরআগে ডুবে যাওয়া অভিবাসী নৌকা থেকে দুর্দশার সংকেত পাওয়ার পর ম্যাডলিন গ্রীক দ্বীপ ক্রেটের কাছে গতি পরিবর্তন করে।
কর্মীরা চার সুদানী অভিবাসীকে উদ্ধার করে লিবিয়ায় ফেরত পাঠাতে চাইলে তারা সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে এই চারজনকে ইইউ ফ্রন্টেক্স জাহাজে স্থানান্তরিত করা হয়।
২০১০ সালে চালু হওয়া ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন হল গাজার জন্য মানবিক সাহায্যের ওপর অবরোধের বিরোধিতাকারী গোষ্ঠীগুলোর একটি জোট যা ২ মার্চ ইসরাইল আরোপ করেছিল এবং তারপর থেকে এটি আংশিকভাবে শিথিল করা হয়েছে।
ইসরাইল গাজা ভূখণ্ডে সৃষ্ট মানবিক সংকটের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তীব্র নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, ২০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।