শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জুন, ২০২৫ (বাসস): বলিভিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সরকার। মোরালেসকে চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এ বিক্ষোভ চলছে।
লা পাজ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে বলিভিয়ার মধ্যাঞ্চলে। সেখানে আদিবাসী এই নেতাকে আগামী আগস্টের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার দাবি এবং নির্বাচনে তাঁকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে সোমবার থেকে সড়ক অবরোধ শুরু করেছে মোরালেস সমর্থকরা।
নাগরিক নিরাপত্তা উপমন্ত্রী ক্যারোলা আরায়া জানিয়েছেন, মোরালেসের কেন্দ্রীয় দুর্গ কোচাবাম্বার বোম্বিও গ্রামে ডিনামাইট বিস্ফোরণে ছয় পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এলাকাটি মোরালেসের প্রধান রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
বিক্ষোভকারীরা বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস আর্সের পদত্যাগও দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ, তীব্র অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি এবং মোরালেসকে নির্বাচনে অংশ নিতে না দেওয়ার জন্য লুইস আর্স দায়ী।
‘এভো পুয়েবলো’ নামের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের নেতা ওমার রামিরেজ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষে আমাদের কিছু লোক আহত হয়েছে’। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। চলতি বছরের শুরুতে ক্ষমতাসীন দল ত্যাগ করে এ আন্দোলন শুরু করেন মোরালেস।
ইভো মোরালেস ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকা নেতাদের একজন। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত টানা তিন মেয়াদে বলিভিয়া শাসন করেন। তবে ২০১৯ সালের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে রাজনৈতিক বিতর্ক ও চাপের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।
সাংবিধানিক আদালত চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচন করতে মোরালেসকে নিষেধ করেছে। একই সঙ্গে, তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতায় থাকাকালীন এক অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগে মানবপাচারের মামলাও চলছে। তবুও, তিনি গত মাসে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সফল হননি।
রামিরেজ আরো জানান, নির্বাচনের বিষয়টিই শুধু বিক্ষোভের মূল ইস্যু নয়, বরং অর্থনৈতিক সংকটই এখন আমাদের প্রধান উদ্বেগ।
বর্তমানে বলিভিয়ায় ডলার ও জ্বালানির সংকট চরমে পৌঁছেছে, যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাসে দেশটির জনসাধারণ একাধিকবার বিক্ষোভ করতে রাস্তায় নেমেছে।
বাসচালক ও খুচরা বিক্রেতারাও চলতি সপ্তাহে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল মোরালেসের ‘অসাংবিধানিক প্রার্থিতা’ এবং তার প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে ‘অতীতের মতো শহরগুলো বন্ধ করে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করা’।