বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ০৯:৪৬

পুতিন আগুন নিয়ে খেলছেন : ট্রাম্প

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার ভ্লাদিমির পুতিনকে সতর্ক করে বলেছেন, তিনি ‘আগুন নিয়ে খেলছেন’। ইউক্রেনের শান্তি প্রচেষ্টা স্থগিত করার বিষয়ে তার রুশ প্রতিপক্ষের ওপর নতুন করে তীব্র আক্রমণ করেছেন।

কিয়েভে ব্যাপক রাশিয়ান বিমান হামলার পর সপ্তাহান্তে ক্রেমলিন নেতাকে ‘পাগল’ বলার পর ট্রাম্পের সর্বশেষ মন্তব্য এসেছে এবং সতর্ক করে দিয়েছে, মস্কো নতুন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি নিয়েছে। 

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

ট্রাম্প মঙ্গলবার তার ট্রুথ সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বলেছেন, ‘পুতিন যা বুঝতে পারেন না তা হল, আমি না থাকলে রাশিয়ার সাথে ইতোমধ্যেই অনেক খারাপ ঘটনা ঘটত এবং আমি বলতে চাইছি সত্যিই খারাপ।’

কারণ, ‘তিনি আগুন নিয়ে খেলছেন!’

ট্রাম্প ‘সত্যিই খারাপ’ ঘটনাগুলো কী তা নির্দিষ্ট করে বলেননি অথবা কোনো নির্দিষ্ট হুমকিও দেননি।

কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং সিএনএন উভয়ই জানিয়েছে, ট্রাম্প এখন এই সপ্তাহের শুরুতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা বিবেচনা করছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি এখনো তার মন পরিবর্তন করতে পারেন।

রোববার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধির ‘পুরোপুরি’ বিবেচনা করছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাম্প্রতিক তিরস্কার পুতিনের প্রতি তার পূর্বের মনোভাবের থেকে একটি বড় পরিবর্তনকে চিহ্নিত করে, যাকে তিনি প্রায়শই প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেন এবং পূর্বে সমালোচনা করা থেকে বিরত ছিলেন।

ট্রাম্প অবশ্য কিয়েভের সাথে অচল যুদ্ধবিরতি আলোচনায় মস্কোর অবস্থান নিয়ে ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন।

চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে রাশিয়া যখন ইউক্রেনে রেকর্ড ড্রোন হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ১৩ জনকে হত্যা করে তখন সেই হতাশা আরো তীব্র হয়ে ওঠে।

রোববার রাতে ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে আমার সবসময়ই খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার সাথে কিছু একটা ঘটেছে। সে একেবারে পাগল হয়ে গেছে!’ 

আট দিন আগে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে একটি ফোনালাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ‘অবিলম্বে’ যুদ্ধবিরতি আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন।

মঙ্গলবার মস্কো কিয়েভকে শান্তি প্রচেষ্টা ‘ব্যহত’ করার চেষ্টা করার অভিযোগ করেছে এবং বলেছে, ‘সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনে তাদের বিমান হামলা ‘নিজের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলা বৃদ্ধির’ ‘প্রতিক্রিয়া’।