শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : এ বছরের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সর্বমোট ২২টি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। শনিবার অনুষ্ঠানের সমাপ্তি দিনে বিজয়ী ছবিকে ‘পাম দ’অর’ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
প্যারিস থেকে এএফপি জানায়, এ বছরের বিচারক মণ্ডলীর সভাপতি ফরাসি অভিনেত্রী জুলিয়েত বিনোশ। তার সঙ্গে রয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী হ্যালি বেরি ও ‘সাকসেশন’ সিরিজখ্যাত জেরেমি স্ট্রংসহ আরও সাতজন বিচারক।
পাম দ’অরের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী চলচ্চিত্রগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
‘আ সিম্পল অ্যাকসিডেন্ট’ — জাফর পানাহি (ইরান):
চারজন সাধারণ ইরানির গল্প, যারা এমন একজনকে মুখোমুখি হয়, যাকে তারা মনে করে একসময় তাদেরকে নির্যাতন করেছিল। গোপনে ধারণ করা এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে পানাহি বলেন, 'দর্শকরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন, তারা হলে কী করতেন?'
‘সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু’ — জোয়াকিম ত্রিয়ের (নরওয়ে):
একটি ভেঙে যাওয়া পরিবারের আবেগময় গল্প। এল ফ্যানিং অভিনীত ছবিটি প্রদর্শনের পর ১৯ মিনিট দীর্ঘ করতালির অভ্যর্থনা পায়। সমালোচকদের মতে, এটি এবারের পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার।
‘টু প্রসিকিউটরস’ — সের্গেই লজনিৎসা (ইউক্রেন):
সোভিয়েত ইউনিয়নের ১৯৩০ দশকের সময়কাল ও স্তালিনের দমনপীড়নের প্রেক্ষাপটে একজন আদর্শবাদী কৌঁসুলির গল্প।
‘ঈগলস অব দ্য রিপাবলিক’ — তারিক সালেহ (সুইডেন/মিসর):
এক জনপ্রিয় মিসরীয় অভিনেতাকে প্রোপাগান্ডা চলচ্চিত্রে কাজ করতে বাধ্য করার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত রাজনৈতিক থ্রিলার। সালেহ বলেন, 'দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এটি কোনো ব্যঙ্গচিত্র নয়।'
‘ইয়াং মাদারস’ — দারদেন ভ্রাতৃদ্বয় (বেলজিয়াম):
পাঁচ কিশোরী মায়ের বাস্তবতা নিয়ে নির্মিত ছবি। দ্য গার্ডিয়ান একে পাঁচ তারকা দিয়ে প্রশংসা করেছে।
‘সাউন্ড অব ফলিং’— মাস্কা শিলিনস্কি (জার্মানি):
প্রজন্মজুড়ে চলা ট্রমা নিয়ে নির্মিত এক আবেগপূর্ণ ছবি, পূর্ব জার্মানির এক খামারবাড়িকে কেন্দ্র করে চার প্রজন্মের নারীদের নিয়ে।
‘নুভেল ভাগ’ — রিচার্ড লিংকলেটার (যুক্তরাষ্ট্র):
১৯৫৯ সালের প্যারিসে জঁ লুক গদারের ‘ব্রেথলেস’ তৈরির পুনরকল্প, স্টাইলিশ সাদাকালো সিনেমা। হলিউড রিপোর্টার একে 'স্মার্ট ও গবেষণাসম্পন্ন শ্রদ্ধার্ঘ্য' বলে অভিহিত করেছে।
‘সিরাত’ — অলিভার লাক্স (স্পেন):
মরক্কোর ভ্রাম্যমাণ রেভ সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে নির্মিত জটিল, ঘরানা ভাঙা রোড মুভি।
‘দ্য মাস্টারমাইন্ড’ — কেলি রেইচার্ড (যুক্তরাষ্ট্র):
এক তরুণ পিতার চিত্রকর্ম চুরির পরিকল্পনা, ভিয়েতনাম যুদ্ধ ও নারী স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত।
‘দ্য হিস্ট্রি অব সাউন্ড’— অলিভার হারম্যানাস (দ.আফ্রিকা):
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১০-এর দশকে লোকগান সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই সংগীতজ্ঞের প্রেমের গল্প। পল মেস্কাল ও জোশ ও’কনর অভিনীত।
‘ডাই মাই লাভ’ — লিন র্যামসে (যুক্তরাজ্য):
মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর চলচ্চিত্র। জেনিফার লরেন্স অসুস্থ মায়ের ভূমিকায় সাড়া ফেলেছেন।
‘রোমেরিয়া’ — কারলা সিমন (স্পেন):
এক তরুণীর নিজের জৈব পিতামাতার মাদকাসক্ত অতীত উন্মোচনের গল্প।
‘দ্য ফিনিশিয়ান স্কিম’ — ওয়েস অ্যান্ডারসন (যুক্তরাষ্ট্র):
এক অদ্ভুত ইউরোপীয় ধনকুবেরকে ঘিরে নির্মিত প্রথাসিদ্ধ রঙিন ও হাস্যরসাত্মক সিনেমা।
‘রেনোয়ার’ — চিয়ে হায়াকাওয়া (জাপান):
এক কিশোরীর পারিবারিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ১৯৮০-এর দশকের জাপান।
‘দ্য সিক্রেট এজেন্ট’ — ক্লেবার মেনডোসা ফিলো (ব্রাজিল):
ব্রাজিলের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের সময়কার রাজনৈতিক থ্রিলার।
‘দ্য লাস্ট ওয়ান’ — হাফসিয়া হারজি (ফ্রান্স):
এক কিশোরী মুসলিম মেয়ের পরিচয় ও যৌনতা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ইতিমধ্যে ‘কুইয়ার পালম’ পুরস্কার পেয়েছে।
‘এডিংটন’ — আরি অ্যাস্টার (যুক্তরাষ্ট্র):
নিউ মেক্সিকোর এক ছোট শহরে আমেরিকার সাংস্কৃতিক যুদ্ধ নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক ও হিংসাত্মক নাটক, জোকুইন ফিনিক্স অভিনীত।
‘আলফা’ — জুলিয়া ডুকুরনো (ফ্রান্স):
এক মহামারির মুখোমুখি হওয়া তরুণী নিয়ে নির্মিত, সমালোচকদের কাছে আশানুরূপ হয়নি।
‘ওম্যান অ্যান্ড চাইল্ড’ — সাঈদ রুস্তাই (ইরান):
এক বিধবার জীবনের বাস্তবতা ও সংগ্রাম, তিন বছর আগের ছবির জন্য ইরানে দণ্ডিত হলেও এবার দেশটির সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে।
‘ডসিয়ে ১৩৭’ — ডোমিনিক মল (ফ্রান্স):
২০১৮ সালের ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনে পুলিশের সহিংসতা নিয়ে নির্মিত তদন্তধর্মী থ্রিলার।
‘রেজারেকশন’ — বিগান (চীন):
দীর্ঘ দৃশ্য, চমৎকার দৃশ্যগঠন ও রহস্যে ভরা এক বৈজ্ঞানিক গোয়েন্দা গল্প।
‘ফুয়োরি’ — মারিও মার্তোনে (ইতালি):
লেখক গোলিয়ার্দা সাপিয়েনজা ও তার সাবেক কারাবন্দি বন্ধুদের নিয়ে তৈরি জীবনীধর্মী চলচ্চিত্র।