শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে একটি বিলাসবহুল উড়োজাহাজ গ্রহণ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই নিয়ে শত্রু-মিত্র দুই পক্ষ থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
‘ওয়াশিংটন টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেন্টাগন গত ২১ মে, বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, কাতারের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া বোয়িং ৭৪৭ জেটবিমানটি গ্রহণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্টের পরিবহনের উপযোগী এয়ার ফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে রূপান্তর করতে এতে কিছু পরিবর্তন আনবে বিমান বাহিনী।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে গত ১১ মে মার্কিন গণমাধ্যম প্রথম জানায়, কাতারের রাজ পরিবারের কাছ থেকে এই উড়োজাহাজটি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এই উপহার সম্পর্কে গত সপ্তাহে ট্রাম্প বলেছেন, ‘কাতার উপহার হিসেবে এটা দিচ্ছে। গ্রহণ না করাটা বোকামি হবে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, উড়োজাহাজটি তাকে নয়, বরং প্রতিরক্ষা বিভাগকে দেওয়া হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষে ওভাল অফিস ত্যাগ করার পর তিনি আর বিমানটি ব্যবহার করবেন না বলেও দাবি করেছেন।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এই উপহার পাওয়াকে আইনসম্মত বলে ঘোষণা দিলেও এক সপ্তাহর বেশি ধরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সমালোচনার মুখে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক দলের হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, ‘কেউই ৪০ কোটি মর্কিন ডলারের একটি উড়োজাহাজ বিনামূল্যে দেয় না। এর বিনিময়ে কিছু না কিছু প্রত্যাশা অবশ্যই থাকে।’ ট্রাম্পের বেলায়ও মনে হচ্ছে তা-ই হয়েছে। আসল রহস্য পরে জানা যাবে।
শুধু বিরোধী শিবির নয়, ট্রাম্পের নিজের দলের অনেক নেতাও এই ব্যাপারে তার কঠোর সমালোচনা করছেন। রিপাবলিকান পার্টির সিনেটর র্যান্ড পল সম্প্রতি ‘ফক্স নিউজ’কে বলেছেন, ‘ঠিক-ভুলের আলাপ পরে। কিন্তু দেখতে যে অনৈতিক মনে হচ্ছে, সেটা চিন্তা করেই উপহারটা নেওয়া উচিত হয়নি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এই বিশাল উপহার গ্রহণের পর এখন আমরা কাতারের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে কতটা কথা বলতে পারব, তা নিয়েই ভাবছি আমি।’
আরেক রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, এই উড়োজাহাজ ‘গুপ্তচরবৃত্তি ও নজরদারির সমস্যা’ তৈরি করতে পারে।
পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিয়ম মেনেই কাতারের কাছ থেকে বোয়িং ৭৪৭ বিমানটি গ্রহণ করা হয়েছে । কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানমতে, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া সরকারের কেউ অন্য দেশ থেকে উপহার নিতে পারেন না। এই উড়োজাহাজ গ্রহণ এখনো কংগ্রেসের অনুমোদন পায়নি।