শিরোনাম
ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস) : কাজের সুযোগে কঠোরতা ও স্টাডি ভিসা নিয়ে বিধিনিষেধের কারণে ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন অর্ধেকে নেমে গেছে।
বৃহস্পতিবার সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন ২০২৪ সালে অর্ধেকে নেমে চার লাখ ৩১ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৬০ হাজার জন। কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে নিট অভিবাসনে এটিই সবচেয়ে বড় পতন।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলেছে, দীর্ঘমেয়াদী নিট অভিবাসন প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। আমরা কর্ম ও শিক্ষা-সম্পর্কিত ভিসায় আসা লোকদের সংখ্যা হ্রাস দেখতে পাচ্ছি।
পূর্ববর্তী রক্ষণশীল সরকার এই ধরনের ভিসার জন্য আবেদনকারীদের ওপর কঠোর শর্ত আরোপ করে। অভিবাসীদের ন্যূনতম আয়ের সীমা ও পরিবারের সদস্যদের সেখানে নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
তবে অভিবাসন ইস্যু যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে। লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চলতি মাসের শুরুতে নতুন করে কঠোর অভিবাসন নীতি চালু করেন। ব্রিটেনের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নীতিমালায় সেবাদানে বিদেশি কর্মী কমানো, অভিবাসীদের বসতিস্থাপন বা নাগরিকত্ব লাভের যোগ্যতা অর্জনে দেশটিতে বসবাসের সময়কাল দ্বিগুণ এবং বিদেশী অপরাধীদের নির্বাসনের নতুন ক্ষমতার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন সাবেক মানবাধিকার আইনজীবী স্টারমার। যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক স্থানীয় নির্বাচনে অভিবাসন-বিরোধী ‘রিফর্ম ইউকে’ দল উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। স্থানীয় নির্বাচনে ‘রিফর্ম ইউকে’ দলের জয়ের ফলে অভিবাসন মোকাবিলায় আরো চাপের মুখে পড়েছেন স্টারমার।