শিরোনাম
ঢাকা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বান্ধবীর শিরশ্ছেদ করার অভিযোগে মঙ্গলবার এক প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন।
বান্ধবীর শিরশ্ছেদ নারী অধিকার কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।
২০২১ সালে এক ধনী শিল্পপতির ছেলে পাকিস্তানি-আমেরিকান জহির জাফর ২৭ বছর বয়সী নূর মুকাদামের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর ইসলামাবাদে তার বিশাল প্রাসাদে তার ওপর আক্রমণ করেন একটি নাকালডাস্টার দিয়ে নির্যাতন করে এবং‘ধারালো অস্ত্র’ দিয়ে শিরশ্ছেদ করেন।
ইসলামাবাদ থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
২০২২ সালে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কিন্তু তার আইনজীবীরা আপিল করে যুক্তি দিয়েছিলেন তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন।
মুকাদমের শৈশবের বন্ধু শাফাক জাইদি আদালতের বাইরে এএফপি’কে বলেছেন, ‘এটি পাকিস্তানের সকল নারীর জন্য একটি জয়। সর্বোচ্চ আদালত রায় বহাল রেখে দেখিয়েছে, আমাদের বিচার ব্যবস্থা ন্যায়বিচার প্রদান করতে পারে এবং আইনি প্রক্রিয়ার প্রতি নারীদের আরো আস্থা রাখা উচিত ।’
বিচারপতি হাশিম কাকার আদালতকে বলেছেন, ‘এটি ছিল আমাদের শেষ অবলম্বন এবং এই ফলাফল আমাদের কাছে কী তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রদূতের ২৭ বছর বয়সী মেয়ে মুকাদাম, যে রাতে তাকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই রাতে পালানোর জন্য বারবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জাফরের পরিবারের দুই কর্মচারী তাকে বাধা দিয়েছিলেন।
‘সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা হলো ‘মৃত্যুদণ্ড।’
২০২২ সালে জাফরের বাবা-মা, জাকির জাফর এবং আসমত আদমজি অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত হননি।
খুনে সহায়তার অভিযোগে দুই কর্মীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।