শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশের পর তাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন (মেগা) প্রচারণার প্রভাবশালী মুখ লরা লুমার। তিনি দাবি করেছেন, বাইডেন ‘টার্মিনাল ক্যানসারে’ আক্রান্ত এবং ‘তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যেই মারা যেতে পারেন।’
ওয়াশিংটন পোস্টের অন লাইন প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।
বাইডেনের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক ঘোষণার পর এই মন্তব্য করেছেন লুমার। তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে ইতোমধ্যে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সংস্থা ও প্রভাবশালী পত্র-পত্রিকায় ‘ব্রেকিং নিউজ’ প্রচার করা হচ্ছে।
অনলাইন সংবাদমাধ্যম জি-নিউজ এবং এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
লুমার এক্সে একাধিক পোস্টে দাবি করেছেন, ‘আমি গত জুলাইয়েই বলেছিলাম বাইডেন টার্মিনাল ক্যানসারে আক্রান্ত। এখন তা প্রমাণিত হচ্ছে।’ তিনি বলেছেন, ‘আমি চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতির বিষয়ে সঠিক ছিলাম। বাইডেন যখন মারা যাবেন, তখনও প্রমাণ হবে আমি ঠিক ছিলাম। অনেকেই আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা পাওনা রেখেছে।’
নিজের পূর্ববর্তী বক্তব্যকে জোরদার করতে লুমার ২০২৪ সালের জুলাইয়ে দেওয়া একটি পুরোনো পোস্টও শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘বাইডেন মারা যাচ্ছেন।’ ওই পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘জো বাইডেনের ভাই ফ্র্যাঙ্ক বাইডেন একসময় ভুলবশত মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট টার্মিনাল ক্যানসারে ভুগছেন। এখন সেই কথাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে।’
লুমারের দাবি, হোয়াইট হাউস বহুদিন ধরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য গোপন করেছে। তিনি হোয়াইট হাউসের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রেকর্ড জালিয়াতির অভিযোগও তোলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘বাইডেনের সঙ্গে চিকিৎসকদের একাধিক মধ্যরাতের গোপন বৈঠকের প্রমাণ রয়েছে। লগ চেক করলেই সেগুলো মিলবে।’
তিনি ২০২২ সালের আরো একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে বাইডেন বলেছিলেন, ‘আমার ক্যানসার আছে।’ যদিও সে সময় হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার অতীতে হওয়া ত্বকের ক্যানসারের কথা বলেছিলেন, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়েছিল।
লুমার এই ক্যানসার সংক্রান্ত ঘটনাকে ‘হোয়াইট হাউসের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি’ বলে অভিহিত করেছেন। তার মতে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন পুরো সময়জুড়েই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু প্রশাসন তা চেপে গিয়েছিল।
শেষে লুমার বলেন, ‘সবাই বলছে তারা চায় বাইডেন সুস্থ হয়ে উঠুন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, তিনি আর সেরে উঠবেন না। আমাদের উচিত এখন বাস্তবতা মেনে নিয়ে এই বিষয়টি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করা।’