বাসস
  ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৯:২৬

জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য

ছবি : বাসস

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) আয়োজিত আজ এক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে বক্তারা বলেছেন, জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রায় ৮০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য। 

‘জরুরি স্ট্রোক কেয়ারের রূপান্তর ও পরবর্তী প্রজন্মের নিউরো-ইন্টারভেনশন পরিষেবার বিকাশ’ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে তারা বলেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য পরিহার, শারীরিক সক্রিয়তা বৃদ্ধি এবং সম্প্রদায়-ভিত্তিক হস্তক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রোক প্রতিরোধ শিক্ষাকে স্কুল, কর্মক্ষেত্র এবং নগর পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এই অধিবেশনটি স্ট্রোক প্রতিরোধ, সময়োপযোগী চিকিৎসা, তথ্য বিনিময় এবং আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। এবারের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্সের স্লোগান ছিল- ‘স্ট্রোকের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া’।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, এনআইএনএসএন্ডএইচ পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও বিএইচআরইউটি পরিচালক অধ্যাপক গিডিঅন মালাওয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. বাহাদুর আলী মিয়া।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রোক কনফারেন্স স্ট্রোক চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করবে। বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বিএমইউতে স্ট্রোকের সর্বাধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।’

অধিবেশনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে স্ট্রোক এখনও মৃত্যুর প্রধান কারণ ও অক্ষমতার বড় কারণ। তবে এর অধিকাংশই প্রতিরোধযোগ্য। তারা এফএএসটি (ফেইস ড্রপিং, আর্ম উইকনেস, স্পিস ডিফিকাল্টি, টাইম টু কল ইমার্জেন্সী) সংক্ষিপ্ত রূপ অনুযায়ী প্রাথমিক সতর্কতা ও দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অধিবেশনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, গাইডলাইন সমন্বয় ও তথ্য বিনিময়কে স্ট্রোক প্রতিরোধ এবং আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই কনফারেন্স বাংলাদেশে স্ট্রোক কেয়ার ব্যবস্থার রূপান্তর এবং পরবর্তী প্রজন্মের নিউরো-ইন্টারভেনশন পরিষেবার বিকাশে নতুন এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে।