বাসস
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৮

বিজয়ের মাসে বইয়ের উৎসব: ‘বিজয় বইমেলা’ নিয়মিত করার দাবি পাঠকদের

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিজয়ের মাস উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘বিজয় বইমেলা’। স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই মেলা পাঠক, লেখক ও প্রকাশকদের মধ্যে আলাদা গুরুত্ব ও আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার পঞ্চম দিনে আজ মেলায় আসা পাঠকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। তারা এ আয়োজন একবারের মধ্যে  সীমাবদ্ধ না রেখে বরং ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে বিজয় বইমেলা চালু রাখার  কথা বলেন। 

বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলমান এই বিজয় বইমেলা বইপ্রেমীদের জন্য হয়ে উঠেছে এক ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা। মেলায় মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী বইয়ের প্রতি পাঠকদের আগ্রহ স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ মেলার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

পাঠকদের মতে, ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলার বাইরে বিজয় বইমেলা একটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় সংযোজন। এটি কেবল বই কেনাবেচার জায়গা নয়; বরং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বিজয়ের ইতিহাস ও জাতীয় পরিচয়ের সঙ্গে পাঠকদের নতুন করে সংযোগ স্থাপনের একটি কার্যকর মাধ্যম। অনেকেই মনে করছেন, ভবিষ্যতে লেখক-পাঠক মতবিনিময়, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন যুক্ত হলে মেলাটি আরও সমৃদ্ধ রূপ পাবে।

মেলায় এসেছেন তরুণ কবি ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইস্রাফিল আকন্দ রুদ্র। তিনি বলেন, বিজয় বইমেলা এ বছরই প্রথম। এটা নিশ্চয়ই ভালো লাগার। বিজয়ের মাসে বই নিয়ে এ আয়োজন নিয়মিত হওয়া জরুরি। এটি স্রেফ বই বেচাকেনার আয়োজন নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চিন্তাকে নতুনভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই বিজয় বইমেলাকে আরও সুন্দর ও পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেওয়া অতীব জরুরি।

উল্লেখ্য, এবারের বিজয় বইমেলায় মোট ১৭০টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে দেশের শীর্ষ ১৪০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতি কর্মদিবসে বেলা আড়াইটা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকছে।