শিরোনাম

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
শিল্পকলা একাডেমি সূত্র জানায়, একাডেমির ব্যবস্থাপনায় ডিসেম্বর মাসে বিজয়ের গৌরবদীপ্ত এই ক্ষণে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হচ্ছে দেশের লাখো বীর শহীদ সন্তানদের। বাংলাদেশের লাখো জনতার সংগ্রামের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার মূল সুরকে ধারণ করে সাজানো হয়েছে এবারের বিজয় উৎসবের অনুষ্ঠানমালা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘বিজয় উৎসব’-এর প্রথম দিনের পরিবেশনা আজ শুরু হয়েছে।
বিকেল ৩ টা ৫০ মিনিটে শুরু অ্যাক্রোবেটিক শো-শারীরিক দক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে এক অপূর্ব শৈল্পিক উপস্থাপনা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সিনিয়র, জুনিয়র ও শিশু অ্যাক্রোবেটিক দলের সদস্যবৃন্দ একে একে উপস্থাপন করেন পরিবেশনাসমূহ।
প্রদর্শনীর শুরুতেই বাংলাদেশ সিনিয়র অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করেন ‘জলি সিমেন্স’, শিশু অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করে ‘ব্ল্যাংকেট ব্যালেন্স’ এবং জুনিয়র অ্যাক্রোবেটিক দল ‘ক্যাপ ড্যান্স’ ও ‘ল্যাডার ব্যালেন্স’ পরিবেশন করেন। এরপর একে একে পরিবেশিত হয় কুংফু আর্ট, রিং ড্যান্স, নেক আয়রন বার, হাই সাইকেল। সিনিয়র অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করেন ব্যারেল ব্যালেন্স ও চেয়ার সেটিং।
জুনিয়র অ্যাক্রোবেটিক দল পরিবেশন করে রোপ ইস্ক্রুস, রোলার ব্যালেন্স ও রোপ জাম্প। শিশু অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন করেন মাউথ স্কিল।
এরপর সিনিয়র, জুনিয়র ও শিশু অ্যাক্রোবেটিক দল যথাক্রমে পরিবেশন করেন হাড়ি ও লাঠি, রোপ রাউন্ড, দিয়াবো ব্যালেন্স, পাইপ ব্যালেন্স, রিং ড্যান্স, মার্শাল আর্ট (নুনথু) ও রোপ ইস্ক্রুস।
বাংলাদেশ অ্যাক্রোবেটিক দলের একে একে চোখ ধাঁধানো পরিবেশনায় মুগ্ধ হয় উপস্থিত হাজারো দর্শক। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে (Bangladesh shilpakala Academy) দেখা যাবে।
অনুষ্ঠানে শেষে সমাপনী বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন)।
তিনি আগামী বিজয় দিবসে নতুন নতুন অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শন সঞ্চালনায় ছিলেন মো. জালাল উদ্দীন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।