বাসস
  ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২১:১১

শিল্পকলা একাডেমিতে আবু রাসেল রনির একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৮ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আবু রাসেল রনির প্রথম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে।

দেশের তরুণ শিল্পীদের সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডের প্রচার, প্রসার, বিকাশ ও চর্চাকে আরো গতিশীল করার  লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নিয়মিত বিভিন্ন প্রদর্শনী ও কর্মশালা আয়োজন করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৫ নম্বর গ্যালারিতে তরুণ আলোকচিত্রশিল্পীর প্রথম একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী চলবে ৮ নভেম্বর থেকে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সাত দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে আলোকচিত্রীর তোলা মোট ৫০টি নির্বাচিত আলোকচিত্র স্থান পাচ্ছে। এতে ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন গল্পের দেখা পাবেন দর্শকরা। এ প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্রশিল্পী নাসির আলী মামুন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন)।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক চিত্রশিল্পী আব্দুল হালিম চঞ্চল।

একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, ‘আলোকচিত্রের ইতিহাস প্রায় দুই শতাব্দী পুরনো। শুরুতে এটি ছিল কেবলই তথ্য সংরক্ষণের একটি উপায়। কিন্তু ধীরে ধীরে ফটোগ্রাফি নিজেই রূপ নেয় এক স্বতন্ত্র শিল্পরূপে; যেখানে বাস্তবতা, অনুভূতি আর সৃষ্টিশীলতা মিলে তৈরি হয় জীবনের এক কাব্যিক প্রতিচ্ছবি। শিল্পী আবু রাসেল রনির প্রতিটি ছবির মধ্যে নতুন চিন্তার খোরাক আছে, প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষ শিল্পের জন্য চিন্তার খোরাক পাবে। যখন কোনো আলোকচিত্রী ছবির মাধ্যমে মানুষের মনে চিন্তা ও ভাবনার খোরাক যোগান দিতে পারেন, তখনই তিনি শিল্পী হয়ে ওঠেন। আমরা একাডেমির মাধ্যমে দেশের প্রতিভাবান শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে চাই। 

তিনি আরও বলেন, কবিতা যেমন তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ভাব প্রকাশ করে, রনিও তার ছবির মাধ্যমে সেই মনোভাব প্রকাশ করেছে। এ জন্য তাকে অভিনন্দন জানাই।

নাসির আলী মামুন বলেন, রনির প্রদর্শনীতে আজকে এসেছি। রনির অন্তরের যে চোখগুলো আছে, সেগুলো প্রসারিত। তার ছবিগুলো দেখেছি। রনিকে আমি অভিনন্দন জানাই। শিল্পকলা একাডেমিতে অবিলম্বে আলোকচিত্র সংগ্রহের জন্য একটি কক্ষ চাই। আমরা এতো বছরেও কোনো ফটোগ্রাফির সংগ্রহশালা করতে পারিনি। দেশের গুণীদের অনীহার মধ্য দিয়ে আমাদের ফটোগ্রাফি যাচ্ছে। আমাদের আসলে দরকার এমন প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান শিক্ষা দেবে এবং মান উন্নয়ন করবে। 

চিত্রশিল্পী আব্দুল হালিম চঞ্চল বলেন, ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পরিবর্তন এসেছে। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। শিল্প সংস্কৃতির সবাই এর সুফল পাবে।