কালচিন (আর্জেন্টিনা), ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ (বাসস/এএফপি): জুলিয়ান আলভারেজ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার জন্য নতুন আবিস্কার হলেও নিজের ছোট্ট গ্রামটিতে এই খেলোয়াড় ‘স্পাইডার’ নামে পরিচিত। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে দক্ষতা প্রদর্শনের কারনে উদযাপন করার সময় গ্রামবাসী তাকে ‘নায়ক’ ও ‘দূত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বদলী হিসেবে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করা আলভারেজ কয়েকটি ম্যাচজয়ী পারফর্মেন্স দেখিয়ে মুল একাদশে নিজের জায়গা নিশ্চিত করতে  সক্ষম হয়েছেন। এ পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার গোল করেছেন  আলভারেজ। ২২ বছর বয়সি এই উদীয়মান তারকার আগামীকাল রোববার ফ্রান্সের বিপক্ষে একাদশের স্থান প্রায় নিশ্চিত।
কালচিনের রিভোরা ইন্দারতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলভারেজের অন্যতম শিক্ষক প্যাট্রিসিয়া ম্যাগনিনো এএফপিকে বলেন,‘ সাত বছর বয়স থেকেই সে ছিল খুবই সহায়ক, দায়িত্ববান, অধ্যয়নশীল ও সঙ্গীদের উপকারে এগিয়ে আসতেন। এখন সে তারকা, লিওনেল মেসির সঙ্গী।’
আরেকজন প্রাক্তন শিক্ষক গ্রাসিয়েলা ডি বারবেরিস যোগ করেন,‘ ন¤্রতা ও স্বল্পভাষী  হবার কারণে তিনি সব সময় আলাদা ছিলেন। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে স্বপ্ন সত্যি হবে।’
স্থানীয় আঞ্চলিক ভাষায় কালচিন শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘লবনাক্ত স্থান’। কর্ডোবার শিল্পাঞ্চলের উত্তরপুর্বে অবস্থিত একটি সমৃদ্ধ  প্রত্যন্ত গ্রাম, যেখানে তিন হাজার লোকের বাস। গ্রামের প্রবেশপথে অবস্থিত স্কুলের দেয়ালে লাগানো হয়েছে জুলিয়ানের প্রশংসা করে একটি বিলবোর্ড। সেখানে লেখা আছে,‘ জুলিয়ান কালচিনের গৌরব।’
গ্রামটির প্রতিটি ভবন একতলা এবং রাস্তাগুলোর দুই পাশে রয়েছে সবুজ গাছের সারি। একটি ফুটবলকে নিয়ন্ত্রনে রেখে জালে পাঠানোর অসাধারণ দক্ষতার কারণে আলভারেজকে ডাকা হতো ‘স্পাইডার’ নামে। মাকড়সা যেমন মাছি ধরে জালে আটকে রাখে সেরকম ভাবেই বল ধরতে পারতেন তিনি। মঙ্গলবার অনুষ্টিত বিশ^কাপের সেমি-ফাইনালে তারই দেয়া জোড়া গোলে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়লাভ করে আর্জেন্টিনা। এর আগে পোল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও গোল করেছিলেন তিনি।
স্থানীয় ক্লাব অ্যাটলেটিকো কালচিনের হয়ে খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেন আলভারেজ। যেখানে শুধু একটি প্রধান স্ট্যান্ড ছিল, ধারন ক্ষমতা ছিল মাত্র ১৫০ জন দর্শক। আগামীকাল রোববার দোহার লুসাইল স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ^কাপের ফাইনালে ৮৯ হাজার দর্শকের সামনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।