বাসস
  ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৩৮

পুঁজিবাজারে ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ডিএসই-বিএপিআই বৈঠক

ঢাকা, ৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পখাতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির (বিএপিআই) নির্বাহী কমিটির মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

আজ বুধবার ডিএসই’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার গুলশানে বিএপিআই কার্যালয়ে অনষ্ঠিত বৈঠকে ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম ও বিএপিআই সভাপতি এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন। বৈঠকে ডিএসই এবং ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পের শীর্ষ নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প বর্তমানে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজারে উন্নীত হয়েছে এবং দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়। ২০২৫ সালের মধ্যে এ খাতের বাজার ৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের মোট জিডিপির ১.৮৩ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে।

বক্তারা আরও বলেন, ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নতুন বিনিয়োগ, গবেষণা ও প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুঁজিবাজার অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অর্থায়ন উৎস।

বিএপিআই সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির বলেন, শেয়ারবাজারে দীর্ঘমেয়াদি আস্থা ফিরিয়ে আনতে নীতি ও আইনে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কর সুবিধা নিশ্চিত করা হলে আরও প্রতিষ্ঠান বাজারে আসবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি শুধু মূলধন সংগ্রহ নয়, এটি কোম্পানির স্বচ্ছতা, দায়িত্ববোধ এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।’

ডিএসই’র চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম জানান, পুঁজি বাজারকে আরও কার্যকর এবং বিনিয়োগবান্ধব করতে ডিএসই রূপান্তর প্রক্রিয়ায় আছে। 

তিনি বলেন, ‘ব্লু-চিপ কোম্পানির আইপিও সর্বোচ্চ দুই মাসে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজারে তথ্যপ্রবাহ বাড়াতে ‘সেন্ট্রাল ইনফরমেশন আপলোড সিস্টেম’ চালু করা হচ্ছে।

অন্যান বক্তারা বলেন, তালিকাভুক্ত হলে কোম্পানির আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হয়। তারা ‘এসএমই এবং অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড’ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বড়-ছোট সব ধরণের কোম্পানির বাজারে আসার সুযোগের কথাও তুলে ধরেন। তারা আরও বলেন, বড় প্রতিষ্ঠানের সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন জরুরি, যা ব্যাংকের পরিবর্তে পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করলে খরচ ও ঝুঁকি কমবে।

ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, ‘নীতিগত সহযোগিতা ও যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা সম্ভব। শিল্পখাত ও স্টক এক্সচেঞ্জ একসাথে কাজ করলে জাতীয় অর্থনীতি আরও এগিয়ে যাবে।’