শিরোনাম
ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতিগত ধারাবাহিকতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
রাজধানীতে আজ সোমবার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম)-এর এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা ২৭ বছরের কম বয়সী এবং তারা কর্মসংস্থান খুঁজছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বাণিজ্য-উপযোগী করে তুলতে সবুজ বন্দর উন্নয়ন শুধু কার্বন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করবে না, বরং এই বিপুল জনশক্তির জন্য নতুন সুযোগও তৈরি করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বন্দর আধুনিকীকরণ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর দেশের ৯৬ শতাংশ বাণিজ্য ও ৯৮ শতাংশ কনটেইনার হ্যান্ডেল করছে। অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে জাইকার সহায়তায় জাতীয় বন্দর নীতি চলতি বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে। পাশাপাশি ই-গেট ও রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিংসহ ডিজিটাল উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা দেশের বাণিজ্য ও লজিস্টিক খাতের উন্নতির জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।
অ্যামচেম বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, দেশের জিডিপিতে লজিস্টিক খাতের অবদান প্রায় ২০ শতাংশ এবং এই খাতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ কাজ করে। তা সত্ত্বেও এটি এখনও অনুন্নত এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তিনি ২০২৪ সালে প্রণীত লজিস্টিক নীতি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।
এলিকট ড্রেজ এন্টারপ্রাইজেস এলএলসির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ফিলিপ গ্রোভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য অংশীদারিত্ব ক্রমেই বাড়ছে। তিনি রিয়েল-টাইম ডেটা, লজিস্টিকস খরচ ও কার্গো ট্র্যাকিংয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান, মেডিটারেনিয়ান শিপিং কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও ও কান্ট্রি হেড ইঞ্জিনিয়ার হারুন-উর-রশিদ,সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকিডার প্রতিনিধি ইয়াসের রিজভি, কনভেয়র লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিইও এবং বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি কবির আহমেদ, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, সিআইএলটি বাংলাদেশের সভাপতি ও মেরিটাইম আইন বিশেষজ্ঞ মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির এবং আরএসজিটি বাংলাদেশের হেড অব কাস্টমার রিলেশনস ও আন্তর্জাতিক বন্দর অপারেটর সৈয়দ মোহাম্মদ তারিক মূল্যবান মতামত ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
তারা উন্নত বন্দর ও লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা, বিনিয়োগের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়ে আলোচনা করেন।