বাসস
  ২৫ অক্টোবর ২০২১, ২৩:৩১
আপডেট  : ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩৫

আগামীকাল থেকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট শুরু হচ্ছে

ঢাকা, অক্টোবর ২৫, ২০২১ (বাসস) : বিশ্বব্যাপী নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী নেতা ও বিনিয়োগকারীদের একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এনে আগামীকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১' শুরু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) হল অব ফেমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োাগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনও সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি(ডিসিসিআই) এ আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সামিট আয়োজন করতে যাচ্ছে।
এর আগে, এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, এ শীর্ষ সম্মেলনটি পিপিপি মডেলের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ যা একটি উন্নত অর্থনীতির জন্য একটি সংবাদ নীতি প্রনয়ন ও প্রদর্শনে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ বিশেষ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে যা বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত সুবিধা। 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সম্ভাব্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে এফটিএ ও পিটিএ ছাড়ের জন্য তার মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১ সারা বিশ্বের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োাগকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হবে।
টিপু মুন্সী বলেন, আমাদের রপ্তানি প্রধানত তৈরি পোষাকের ওপর নির্ভরশীল এবং আমাদের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং পণ্যেও বৈচিত্র আনতে অন্যান্য সম্ভাব্য খাতে কাজ করার সময় এসেছে।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান শীর্ষ সম্মেলন বিষয়ে একটি মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন দেন এবং উল্লেখ করেন যে সপ্তাহব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলনে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা ও সম্ভাবনার ওপর ভিত্তিতে, বিশেষ করে অবকাঠামো (ভৌত অবকাঠোমো, লজিস্টিক্স ও জ্বালানি), আইটি/আইটিইএস ও ফিনটেক, চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোটিভ ও হালকা প্রকৌশল, প্ল্যাস্টিক পণ্য, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, পাট ও বস্ত্র এবং এফএমসিজি (ফাস্ট মুভিং ভোগ্যপণ্য) এবং খুচরা ব্যবসাসহ নয়টি খাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ পাঁচটি মহাদেশের ৩৮টি দেশের ৫৫২টি কোম্পানি ৪৫০টি বিজনেস টু বিজনেস (ই২ই) ম্যাচ মেকিং সেশনে অংশগ্রহণ করবে, যা বাংলাদেশে নতুন ব্যবসার সুযোগ অন্বেষণ করতে এবং এফডিআই আকৃষ্ট করতে সাহায্য করবে।
তাছাড়া, তিনি জানান, বিভিন্ন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রাস্ত বিষয়ে ছয়টি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হবে, যেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ ও নীতিনির্ধারকরা অংশ্রগ্রহণ করে এই বিষয়ে তাদের সুচিন্তিত মতামত দেবেন।
ডিসিসিআই সভাপতি অভিমত ব্যক্ত করেন যে এ ভার্চুয়াল সামি কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বাংলাদেশের প্রস্তুতি বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের কাছে তুলে ধরবে।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়