শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : ফিফার অর্থায়নে এবং ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্টের অধীনে বাফুফে ভবন সংলগ্ন ও কমলাপুর স্টেডিয়ামে দু’টি কৃত্রিম টার্ফ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং পরে বাফুফে ভবনের টার্ফ ফুটবল ফেডারেশন সভাপতি তাবিথ আউয়াল উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা পাবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু না করলে এই বরাদ্দ ফেরত যাবে বলে শর্তে উল্লেখ আছে। অবশ্য যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া আজ কমলাপুরে টার্ফ উদ্বোধন শেষে আশ্বস্ত করেছেন, ফান্ড ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
বছর তিনেক আগে ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ গড়ার উদ্যোগ নেয় বাফুফে। প্রথমে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় জায়গা পাওয়া যায়। পরে সেই জমির পরিবর্তে একই জেলার রশিদনগরে জমি বরাদ্দ দেওয়া হয় বাফুফেকে। এখন প্রকল্পটি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায়। অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু করবে বাফুফে।
এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘এটা এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রসেসিংয়ে আছে। আশা করি, ফান্ড আমাদের এখান থেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে না। এর মধ্যেই আমরা বাফুফে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারব।’
এদিকে মতিঝিলে টার্ফ উদ্বোধন শেষে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর এই সংস্কার কাজ শুরু হয়। আজ ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ও এই টার্ফ আমরা বুঝে নিলাম। এই দুই টার্ফের জন্য ফিফা ১.৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। ফিফার সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠান গ্রিনফিল্ড এটা তত্ত্বাবধায়ন করেছে। তারাই সাব কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দিয়েছে। বাফুফে এর সঙ্গে জড়িত ছিল না। শুধু লোকাল লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছে। এই টার্ফের মেয়াদকাল ১৫ বছর।’
তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে বাফুফের কমিটি গত ১১ মাসে বেশ কিছু নতুন কার্যক্রম করেছে। তবে ঘরোয়া ফুটবলের তৃণমূলের খেলাগুলো চালু হয়নি। এর পেছনে মাঠ সমস্যাও বড় কারণ। দু’টি টার্ফ এখন সচল হওয়ায় বয়সভিত্তিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও স্বাগতিক হতে চায় বাফুফে। এ প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘এখন অনেক টুর্নামেন্ট টার্ফে হয়। সামনে অনেক টুর্নামেন্টের বিডিং রয়েছে। আমরা সেখানে অংশগ্রহণ করব। জাতীয় অ-১৫ চ্যাম্পিয়নশীপ, প্রথম বিভাগ ফুটবল এখানে হবে।’
ফিফা প্রথম ধাপে বাফুফেকে দুই টার্ফের জন্য ৮ লাখ ২০ হাজার ডলার মঞ্জুর করেছিল। পরবর্তীতে ড্রেসিংরুম ও পানি দেওয়ার উন্নত সিস্টেমের জন্য আরও ২ লাখ ৩০ হাজার ডলার বরাদ্দ দেয়। ফিফা উন্নয়নশীল দেশের জন্য এ রকম নানা সহায়তা করে। এই দুই টার্ফ হয়ে যাওয়ায় বাফুফের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘ফিফা একটি সাইকেল ইয়ারে ৩ মিলিয়ন ডলার দেয়। স্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো প্রকল্প দিতে হলে সেখানে বাফুফের অধীনে মালিকানা, লীজ জমি থাকতে হয় ২৫ বছর।’