শিরোনাম
ঢাকা, ২৩ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : প্রথমবারের মত এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগামী বছর ১-২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, পার্থ ও গোল্ড কোস্টে নারীদের এই আসর অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বাংলাদেশসহ অংশ নিবে এশিয়ার শীর্ষ ১২টি দল।
নারী এশিয়ান কাপের ড্র’কে সামনে রেখে আজ দলগুলো পট চূড়ান্ত করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার ওয়েবসাইটের সূত্রমতে আগামী ২৯ জুলাই সিডনির টাউন হলে আনুষ্ঠানিক ড্র অনুষ্ঠিত হবে।
বাছাইপর্ব শেষে এশিয়ান কাপের ১২টি দল চূড়ান্ত হয়েছে। ২১তম আসরের শেষ দল হিসেবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ইরান।
চূড়ান্ত ড্রয়ে চারটি করে দল তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিবে। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে দলের সাথে তৃতীয় স্থানে থাকা সেরা দুটি দলসহ মোট আটটি দল নক আউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
চীন, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া গত আসরের শীর্ষ তিন দল ও অস্ট্রেলিয়া স্বাগতিক হওয়ায় সরাসরি খেলার সুযোগ পাচ্ছে।। বাকি ৮ দল বাছাই পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। ১২ জুন ফিফা নারী দলের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছিল। সেই র্যাঙ্কিং অনুযায়ী এশিয়া কাপ নিশ্চিত করা ১২ দলকে চার পটে রাখা হয়েছে।
নয়বারের চ্যাম্পিয়ন চায়না এবারও শিরোপা ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবে। এশিয়ান একমাত্র দল হিসেবে ফিফা নারী বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা আছে জাপানের। যে কারনে ২০১৪ ও ২০১৮ এশিয়ান কাপ বিজয়ী হিসেবে জাপানও ছেড়ে কথা বলবে না।
এদিকে ২০২২ সালের রানার্স-আপ কোরিয়া আরো একধাপ এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে মাঠে নামবে। এনিয়ে টানা ১৪তম বারের মত এশিয়ান কাপে মাঠে নামতে যাওয়া কোরিয়ার চোখ থাকবে আসরের প্রথম শিরোপার দিকেই।
টুর্নামেন্টের বাকি আট দল গত ২৩ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য বাছাইপর্ব পেরিয়ে মূল পর্বে খেলতে এসেছে। ২০২২ সালে প্রথমবারের মত খেলা ইরান বাছাইপর্বে গ্রুপ-এ’র শীর্ষ দল ছিল । গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে প্রথমবারের মত নক আউট পর্বে খেলার মাইলফলক স্পর্শ করতে চায় ইরানের নারীরা।
১৯৮০ ও ১৯৬৩ সালের রানার্স-আপ ভারত ২০০৩ সালের পর প্রথমবারের মত গ্রুপ’বির বিজয়ী হিসেবে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে নামবে।
২০২৬ আসর প্রথমবারের মত স্বাগত জানাবে অভিষিক্ত বাংলাদেশকে। বাহরাইন, মিয়ানমার ও তুর্কেমেনিস্তানকে পিছনে ফেলে গ্রুপ-সি’র শীর্ষ দল হিসেবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা অস্ট্রেলিয়ার টিকেট নিশ্চিত করেছে।
তিনবারের চ্যাম্পিয়ন চাইনিজ তাইপে ২০২২ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল। গ্রুপ-ডি’র শীর্ষ দল হিসেবে তারা ১৫বারের মত চূড়ান্ত পর্বে খেলতে নামবে।
আগের আসরের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট আরেক দল ভিয়েতনাম এসেছে গ্রুপ-ই’র শীর্ষ দল হিসেবে। এটি তাদেও টানা ১০ম আসর।
বাছাইপর্বে গ্রুপ-এফ’এ লাওস, নেপাল ও শ্রীলংকাকে পিছনে ফেলে শীর্ষ দল হিসেবে উজবেকিস্তান অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবে। প্রথমবারের মত ছয়বারের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দলটি গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নক আউট পর্বে খেলতে চায়।
২০২২ সালে শেষ চারে থেকে আসর শেষ করা ফিলিপাইন এসেছে গ্রুপ-জি’র শীর্ষ দল হিসেবে। সেমিফাইনালে খেলার সুবাদে প্রথমবারের ফিলিপাইন নারী বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করেছিল।
২০১০ সালের পর প্রথমবারের এশিয়ান কাপে ফিরে এসেছে গ্রুপ-এইচ’র বিজয়ী উত্তর কোরিয়া।
পট অনুযায়ী ড্রয়ের আগে দলগুলোর অবস্থান (ব্র্যাকেটে র্যাঙ্কিং) :
পট ১ : অস্ট্রেলিয়া (১৫), জাপান (৭), উত্তর কোরিয়া (৯)
পট ২ : চায়না (১৭), দক্ষিণ কোরিয়া (২১), ভিয়েতনাম (৩৭)
পট ৩ : ফিলিপাইন (৪১), চাইনিজ তাইপে (৪২), উজবেকিস্তান (৫১)
পট ৪ : ইরান (৬৮), ভারত (৭০), বাংলাদেশ (১২৮)