বাসস
  ২৮ জুন ২০২৫, ২০:১৯

অধিনায়ক শান্তর টেস্ট পরিসংখ্যান

ঢাকা, ২৮ জুন ২০২৫ (বাসস) : কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শ্রীলংকার কাছে ইনিংস ও ৭৮ রানের হারের পর অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেন বাংলাদেশের নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে যাওয়ায় শ্রীলংকার কাছে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। গল-এ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়।

হার দিয়ে টেস্টে অধিনায়কত্বের মিশন শেষ করলেন শান্ত।

বাংলাদেশকে ১৪ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন শান্ত। তার অধীনে ৪টিতে জয়, ৯টিতে হার এবং এক টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ।

গত বছর পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়, অধিনায়ক হিসেবে শান্তর সবচেয়ে বড় অর্জন হয়ে থাকবে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় যদি সেরা সাফল্য হয়, তাহলে শান্তর অধীনে লজ্জা রেকর্ড হয়ে থাকবে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের কাছে টেস্ট ম্যাচ হার। যদিও দ্বিতীয় টেস্ট জিতে জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হার এড়াতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

শান্তর নেতৃত্বে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

সাকিব আল হাসানের সমান ৪টি জয় এসেছে শান্তর নেতৃত্বে। টেস্টে জয় বিবেচনায় অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ডে সাকিবের সমান শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ সাত জয় আছে মুশফিকুর রহিমের।

টেস্টে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের দেওয়ার দিক দিয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন শান্ত। ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন মুশফিক। ৩৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশি। এরপর সাকিব ১৯টি, হাবিবুল বাশার ১৮টি এবং মোমিনুল হক ১৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

কিন্তু জয়ের গড় বিবেচনায় শীর্ষে আছেন শান্ত। তার জয়ের হার ২৮ দশমিক ৫৭। যা তিন বা তার বেশি টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশি অধিনায়কদের মধ্যে সেরা।

ব্যাট হাতে অধিনায়ক হিসেবে ১৪ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৬ দশমিক ২৪ গড়ে ৯০৬ রান করেছেন শান্ত। গড় বিবেচনায় তৃতীয় স্থানে আছেন শান্ত। এক্ষেত্রে শীর্ষে আছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। চার টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং গড় ৫৯ দশমিক ৪৪। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুশফিকের গড় ৪১ দশমিক ৪৪।