শিরোনাম
ঢাকা, ১২ জুন ২০২৫ (বাসস) : শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আগে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের সাম্প্রতিক এ্যাওয়ে ফর্মে আত্মবিশ্বাসী হয়ে স্বাগতিকদের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আগামী ১৭ জুন থেকে গলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। এটি টাইগারদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের নতুন চক্র।
সর্বশেষ ২০২৩-২০২৫ চক্রে বাংলাদেশ চারটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি জয় এসেছে ঘরের বাইরে। পাকিস্তানের ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করা সিরিজও এর মধ্যে রয়েছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ইতিহাসে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। গত চক্রে সপ্তম স্থানে ছিল টিম বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে আজ মিরপুর শেরে বাংলাদেশ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেছেন, ‘আমরা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পর্যায়ক্রমে উন্নতির প্রমাণ দেখিয়েছি। ২০২১-২২০২৩ চক্রে বাংলাদেশ মাত্র এক ম্যাচে জয়ী হয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ চক্রে চারটি জয় ছিনিয়ে নেয়। আগের চক্রে ঘরের মাঠে আমরা মোটেই ভাল করতে পারিনি। মাত্র এক টেস্টে জয়ী হয়েছিলাম। এটা ঠিক যে ঘরের মাঠেও আমাদের জয় প্রয়োজন। কিন্তু সত্যি বলতে কি এ্যাওয়ে ফর্ম আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজকে সামনে রেখে অসাধারণ আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে।’
শান্ত বলেছেন ঘরের টেস্ট সিরিজগুলোতে পারফরমেন্সের উন্নতির জন্য তারা পরিকল্পনা সেট করেছে। ঘরে ও বাইরে উভয় সিরিজে ভাল করতে পারলেই কেবল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের স্ট্যান্ডিংয়ে পজিশনের উন্নতি সম্ভব বলে শান্ত মনে করেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে ভাল স্মৃতিগুলো মানসিক ভাবেও বাংলাদেশকে উজ্জীবিত করে তুলছে বলে শান্ত মন্তব্য করেছেন, ‘ঘরের মাঠে আরো বেশী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে। বিদেশে ভাল খেলতে পারলে সেটা দলকে বেশী আত্মবিশ্বাসী করে তুলে। কিন্তু টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের পজিশনের উন্নতি করতে হলে উভয় সিরিজেই ভাল করতে হবে। শ্রীলংকায় আমাদের বেশ কিছু সুখস্মৃতি রয়েছে। বাংলাদেশ সেখানে শততম টেস্ট ম্যাচ জয় করেছিল। এই স্মৃতি অবশ্যই আমাদেরকে চাঙ্গা করবে।’
বাংলাদেশের অধিনায়ক মনে করেন শ্রীলংকার মাটিতে ইতিবাচক ফলাফল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শুরুতেই দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাবে। এবার শান্তর লক্ষ্য চার কিংবা পাঁচে থেকে চক্র শেষ করার। এ সম্পর্কে শান্ত বলেন, ‘তাদের কন্ডিশনে আমাদের বিশেষ কিছু করার সুযোগ রয়েছে। গতবার আমরা সপ্তম স্থানে ছিলাম। সে কারণে এবার লক্ষ্য অন্তত ৪, ৫ কিংবা ৬ নম্বর পজিশন। আমি মনে করি গত চক্রে আমাদের জয়ের শতাংশ ছিল ৪৫। আমরা যদি এটাকে ৫০, ৫৫ অথবা ৬০ পর্যন্ত তুলতে পারি তবে অধিনায়ক হিসেবে আমি এটিকে শক্তিশালী ফলাফলই বলবো।’
দলের প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে বলে শান্ত বলেছেন। ফর্মে ফেরার জন্যই সবাই কাজ করেছে। বিশেষ করে টপ অর্ডার ভালো করতে পারলে সেটা দলের জয়ে মূল ভূমিকা পালন করে।
শ্রীলংকার বিপক্ষে দল নিয়ে শান্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই দলটি সবদিক থেকেই ভারসাম্যপূর্ণ। দলে চারজন পেসার, চারজন স্পিনার রয়েছে। কন্ডিশন অনুযায়ী মূল একাদশ সাজানো হবে।’
ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন ইনজুরি কাটিয়ে দুই বছর পর দলে ফেরায় দারুণ খুশী অধিনায়ক। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি মনে করি এবাদতকে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশ মিস করেছে। ফর্মের সেরা সময়ে ইনজুরির কারণে সে ছিটকে পড়ে। অন্যান্য বোলাররা থাকলেও তার অনুপস্থিতি আমরা অনুভব করেছি। তাকে আবারো দলে পেয়ে আমি দারুণ খুশী।
এটা দলের জন্য বাড়তি শক্তি যোগ করবে।’
আগামীকাল কলম্বোর উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুইদিনের একটি অনুশীলন সেশন শেষে দুইদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে সফরকারী বাংলাদেশ।