বাসস
  ২৯ মে ২০২৫, ১২:৫২

বেটিসকে উড়িয়ে দিয়ে কনফারেন্স লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি

ইনালে রিয়াল বেটিসকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে উয়েফা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে চেলসি -ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৯ মে ২০২৫ (বাসস) : ফাইনালে রিয়াল বেটিসকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে উয়েফা কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয় করেছে চেলসি। একইসাথে প্রথম ক্লাব হিসেবে ইউরোপীয়ান সবগুলো ট্রফি জয়ের রেকর্ডও গড়েছে ব্লুজরা। 

ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনির বেটিস আবদে এজ্জালজুলির গোলে ম্যাচে লিড নিয়েছিল। কিন্তু এনজো মারসেকার দ্বিতীয়ার্ধের বদলী দল পুরো ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেয়। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে মিডফিল্ডার কোল পালমারের নৈপুন্যে এগিয়ে যায় চেলসি। এনজো ফার্নান্দেজ ও নিকোলাস জ্যাকসনকে দিয়ে পরপর দুটি গোল করিয়েছেন পালমার।

বদলী খেলোয়াড় জেডন সানচো ৮৩ মিনিটে চেলসির ব্যবধান বাড়ান। আর এতেই প্রথমবারের মত ইউরোপীয়ান কোন আসরের ফাইনালে খেলা বেটিস এলোমেলো হয়ে পড়ে। এই সুযোগে ম্যাচের ইনজুরি টাইমে মোয়েসিস কেইসেডো আরো এক গোল করেছেন।

প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফার ক্লাব টুর্নামেন্টের পাঁচটি শিরোপাই এখন চেলসির দখলে- চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ, কনফারেন্স লিগ, সুপার কাপ ও নতুন সংযোজিত কাপ উইনার্স কাপ। 

২০২২ সালে রোমান আব্রাহিমোভিচের কাছ থেকে ক্লাবের মালিকানা কিনে নেয়া টড বোহলির আমলেও এটি চেলসির প্রথম শিরোপা। ম্যাচ শেষে উচ্ছসিত বোহলি মাঠে নেমে এসে খেলোয়াড়দের সাথে শিরোপার আনন্দ উদযাপন করেছেন। 

ইতোমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করার কারনে চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিশ্চিত হয়েছে। 

স্ট্যামফোর্ড ব্রীজে এটাই মারসেকার প্রথম মৌসুম। 

পোলিশ স্টেডিয়াম টারসিজিনস্কি এরেনায় ৯ মিনিটে এজ্জালজুলির গোলে এগিয়ে যায় বেটিস। সেমিফাইনালে ফিওরেন্টিনার বিপক্ষেও গোল করেছিলেন এই মরোক্কান এ্যাটাকার। অধিনায়ক ইসকোর চতুর এক পাসে বক্সের মধ্যে থেকে বাম পায়ের দারুন শটে চেলসি গোলরক্ষক ফিলিপ জর্জেনসেনকে পরাস্ত করেন এজ্জালজুলি। 

মিনিটখানেক পরে মার্ক বার্টার শট দুর্দান্তভাবে রুখে দেন জর্জেনসেন। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। বেটিস অবশ্য দারুনভাবে নিজেদের প্রতিরোধ করেছে। 

নিজেকে মেলে ধরতে না পারা গুস্তোর পরিবর্তে বিরতির পর জেমসকে মাঠে নামান মারসেকা। আর এতেই চেলসি ম্যাচে ফিরে আসে। ইনজুরির কারনে পেলেগ্রিনি এজ্জালজুলির পরিবর্তে জেসুস রডরিগুয়েজকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন। এসময় মারসেকাও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন। ৬৫ মিনিটে ডানদিক থেকে ইংলিশম্যান পালমারের নিখুঁত ক্রসে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফার্নান্দেজ দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে গোলরক্ষক আদ্রিয়ানকে পরাস্ত করেন। পাঁচ মিনিট পর পালমারের আরো একটি দুর্দান্ত ক্রসে জ্যাকসন চেলসিকে এগিয়ে দেন। পরের কাজটুকু সেড়েছেন সানচো ও কেইসেডো। তাদের গোলে বড় জয়ের পাশাপাশি শিরোপাও নিশ্চিত হয় চেলসির।