বাসস
  ১২ মে ২০২৫, ১৩:৪৮

রোমাঞ্চকর এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বার্সেলোনা

ঢাকা, ১২ মে ২০২৫ (বাসস) : কিলিয়ান এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকও বার্সেলোনার বিপক্ষে এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে রক্ষা করতে পারেনি। মৌসুমের দ্বিতীয় ক্লাসিকোতে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৩ গোলে জয়ী হয়ে লা লিগার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে কাতালান জায়ান্টরা। 

ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপ্পের প্রথম দুই গোলে মাদ্রিদ বার্সেলোনার মাঠে শুরুতেই ২-০ গোলে লিড নিয়েছিল। 

কিন্তু রাফিনহার জোড়া গোলের সাথে লামিন ইয়ামাল ও এরিক গার্সিয়ার গোলে বার্সেলোনা সাত পয়েন্টের সুস্পষ্ট ব্যবধানে টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করেছে। মৌসুম শেষ হতে আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকি। 

মঙ্গলবার ইন্টার মিলানের কাছে পরাজিত হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের দল। মাদ্রিদের কাছে কাল পরাজিত হলে লিগ শিরোপা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিতো। কিন্তু এমবাপ্পের অসাধারণ পারফরমেন্স সত্তেও মাদ্রিদকে শেষ পর্যন্ত জিততে দেয়নি বার্সা। 

এ মৌসুমে চারটি ক্লাসিকোতেই কার্লো আনচেলত্তির দলের উপর বার্সেলোনা আধিপত্য দেখিয়ে জয়ী হয়েছে। 

ম্যাচ শেষে ইয়ামাল বলেন, ‘আমরা পয়েন্ট টেবিলে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তৈরী করেছি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরাজয়ের পর এই জয়টা জরুরী ছিল। সমর্থকরাও এতে খুশী হয়েছে।

এখন মুহূর্তটা উপভোগের সময়। লিগ শিরোপা কাছাকাছি যাবার জন্য আজকের জয়টা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই দারুন খুশী।’

বড় কোন শিরোপা ছাড়াই এবারের মৌসুম শেষ করতে হচ্ছে মাদ্রিদকে। 

ম্যাচ শেষে মাদ্রিদ বস আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমাদের আরো ভালভাবে প্রতিরোধ করা উচিৎ ছিল। এই পরাজয় মেনে নেয়া যায়না। এমবাপ্পে দারুন খেলেছে, আক্রমনভাগ নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই।’

আনচেলত্তির অধীনে এটাই রিয়ালের শেষ ক্লাসিকো। 

বার্সেলোনার গোলরক্ষক ওজিচে সিজিসনি এমবাপ্পেকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে বসেন। নিজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে ৫ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। ১৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সহায়তায় ব্যবধান দ্বিগুন করেন এমবাপ্পে। এটি তার ২৬তম লিগ গোল। এর ফলে বার্সেলোনার রবার্ট লিওয়নদোস্কিকে এক গোলে পিছনে ফেলে লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন এমবাপ্পে। সব মিলিয়ে এবারের মৌসুমে এটি এমবাপ্পের ৩৮তম গোল। প্রথম মৌসুমে লস ব্ল্যাঙ্কোসদের হয়ে ইভান জামোরানোর ৩৭ গোলের ক্লাব রেকর্ডকে এর মাধ্যমে পিছনে ফেলেছেন এমবাপ্পে। 

১৯ মিনিটে কর্ণার থেকে ফেরান তোরেসের ফ্লিকে গার্সিয়ার হেডে এক গোল পরিশোধ করে বার্সেলোনা। এরপর ১৭ বছর বয়সী ইয়ামালকে আটকাতে পারেনি মাদ্রিদ। ৩২ মিনিটে আবরো তোরেসের সহযোগিতায় ইয়ামাল থিবো কুর্তোয়াকে পরাস্ত করেন। ২ মিনিট পর পেড্রির থ্রু বলে রাফিনহা বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন। ফ্রেংকি ডি জংয়ের একটি ফাউলে এমবাপ্পে মনে করেছিলেন আবারো পেনাল্টি আদায় করে নিয়েছেন। কিন্তু ভিএআর পরীক্ষায় দেখা গেছে এমবাপ্পে অফসাইড পজিশনে ছিলেন। ৪৫ মিনিটে তোরেসের সাথে বল আদান প্রদান করে রাফিনহা তার দ্বিতীয় গোল করেন। বিরতির ঠিক আগে এমবাপ্পে গোল করলেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। 

৭০ মিনিটে অবশ্য এমবাপ্পে আর কোন ভুল করেননি। ভিনিসিয়াসের দারুন এক পাসে এমবাপ্পে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। তরেসের শট ডি বক্সের মধ্যে ব্লক করতে গিয়ে অরেলিয়েন টিচুয়ামেনির হাতে লাগলে বার্সেলোনা পেনাল্টির আবেদন করেছিল। কিন্তু ভিএআর রিভিউ তা নাকচ করে দেয়।