ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২১ (বাসস) : ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল কানেক্টিভিটিকে আগামী-দিনের সভ্যতা উন্নয়নের বাহন হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও আইওটিসহ ভবিষ্যতে  ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করার কোনো বিকল্প নেই। 
মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য-সমাজ প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার হিসেবে বেড়ে উঠতে ডিজিটাল দক্ষতা সৃষ্টির আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সরকারের পাশাপাশি রোটারিয়ানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
মোস্তাফা জব্বার শনিবার রাতে রাজধানীতে ‘রোটারি ক্লাব অব আনন্দধারা, ঢাকার’ উদ্যোগে সপ্তম চাটার্ড দিবস পালন উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চ্যূয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
রোটারিয়ান তারেক বোখারির সভাপতিত্বে অনষ্ঠানে রোটারিয়ান ব্যারিস্টার মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকি, টিআইএম নুরুল কবির, সাকিনা রহমান, এফএম আলমগীর, রুবায়েত হোসেন ও ফরিদ আলম নিউটন বক্তৃতা করেন।
রোটারিয়ানদের মানব সেবায় গৃহীত কার্যক্রমকে মহৎ কাজ উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘সেবা হচ্ছে মানবতার ধর্ম। সেবা করার চেয়ে বেশি প্রশান্তি আর হতে পারে না। সেবার মাধ্যমে অসহায় মানুষের জীবন বদলে দেওয়া এখনকার  পরিস্থিতিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ একটি কাজ।’
তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশ^ব্যাপি পরিচিতি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য-সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তিনি ( শেখ হাসিানা) ২০৭১ এবং ২১০০ সালের বাংলাদেশ কী হবে সেই ভিশন নিয়েও এগুচ্ছেন। ভবিষ্যত প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে না পারলে তা বাস্তবায়ন করা যাবে না। 
‘আমরা আমাদের শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চাচ্ছি’ এ কথা উল্লেখ করে কম্পিউটারে বাংলাভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিটি মানুষের ডিজিটাল দক্ষতার প্রয়োজন হবে। 
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বক্তারা আর্তমানবতার সেবায় রোটারিয়ানদের নতুন-নতুন কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে রোটারিয়ানদের আরও জোরালো ভূমিকা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।