শিরোনাম

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): দীর্ঘ ১৭ বছর পরে দেশের মাটিতে পা রাখছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার থাকার জন্য বাসভবন প্রস্তুত করেছে বিএনপি।
এসেই গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নং বাসাতে উঠবেন তারেক রহমান। এই বাসার পাশেই ভাড়া করা বাসা ‘ফিরোজা’য় থাকেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।
তারেক রহমানের বাসভবন ঠিক করা হয়েছে গুলশান এভিনিউ‘র ১৯৬ নং বাসাটি। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার মন্ত্রিসভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়াকে এই বাড়িটি বরাদ্ধ দেয়।
কয়েক মাস আগে এই বাড়ির দলিলপত্র বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে হস্তান্তর করেন গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রিজু।
সেই বাড়িতে উঠছেন তারেক। এই বাসার সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে বাসার সামনে নিরাপত্তা ছাউনি বসানো হয়েছে। সড়কের সামনে স্থাপন করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা জানান, এখানে তারেক রহমান সাহেব থাকবেন, সেজন্য এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বারও তৈরি করা হয়েছে।
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে চেয়ারপার্সনের চেম্বারের পাশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা আরেকটি চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কারর্যালয়েও আলাদা চেম্বার তৈরি করা হয়েছে তাঁর জন্য।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আলাদা চেম্বার আছে। এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্যও আরেকটি চেম্বার করা হলো।
আগামী ২৫ ডিসেম্বর টানা ১৮ বছর লন্ডনে নির্বাসিত থাকার পরে ঢাকায় ফিরছেন তারেক রহমান। তার আগমন উপলক্ষ্যে বিএনপি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। ২৫ তারিখ হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের নেতার জন্য অপেক্ষায় আছে দেশবাসী। সেদিন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা সড়কে দুই পাশে সুশঙ্খলভাবে অবস্থান নিয়ে প্রিয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানাবে। আমরা সেই প্রস্তুতির কাজ করছি।’
গতকাল সোমবার গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা হয়। এতে তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।