শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ১২ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম কাসটমস হাউসে আটকে থাকা নিলামে অবিক্রিত সাবেক এমপিদের ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি’রা শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেন। নিলামে বিক্রি না হওয়ায় সেগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।
এই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) এনবিআর একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে। এনবিআর বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সাবেক সংসদ সদস্যদের বিশেষ শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে কি না জানতে চেয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নির্দেশনা চেয়েছিল।
এর জবাবে গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর নির্দেশনা দেয়, গাড়িগুলো খালাসের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য হবে না এবং আমদানিকারকেরা স্বাভাবিক হারে শুল্ক-কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো খালাস করতে পারবেন।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা ওই ৩১টি গাড়ির মোট প্রদেয় শুল্ক-করের পরিমাণ ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৬০০ টাকা। এই উচ্চ মূল্যের গাড়িগুলোর একক প্রতি প্রদেয় সর্বোচ্চ শুল্ক-করের পরিমাণ ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা এবং একক প্রতি প্রদেয় সর্বনিম্ন শুল্ক-করের পরিমাণ ৮ কোটি ৬২ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুসারে এই বিশাল অঙ্কের শুল্ক-কর পরিশোধ করে আমদানিকারকেরা ৩১টি গাড়ি খালাস করেননি বিধায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়েছিল। কিন্তু ওই নিলামে কোনো নিলামকারী গাড়িগুলোর ‘যৌক্তিক মূল্য’ বিড না করায় গাড়িগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে ‘জনস্বার্থে যথাযথ ব্যবহারের’ বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হয় এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে অতি মূল্যবান এই গাড়িগুলো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের জন্য এই বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট গাড়ির আমদানিকারক ভবিষ্যতে প্রযোজ্য সমুদয় শুল্ক ও কর পরিশোধ করে গাড়িগুলো আইনানুগ পদ্ধতিতে খালাস করতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ এবং শুল্কায়ন সংক্রান্ত আইন, বিধি ও আদেশ যথাযথভাবে পরিপালন করে তা আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করতে পারবে।
যদি প্রযোজ্য শুল্ক-কর আদায়পূর্বক গাড়িগুলো ভবিষ্যতে আমদানিকারকের অনুকূলে খালাস করা হয়, তবে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সেই গাড়িগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট ফেরত দেবে।