শিরোনাম
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): হিমালয় ও বঙ্গোপসাগরের ভঙ্গুর বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন-বিমসটেক, যা এই অঞ্চলের পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে আইইউসিএন ওয়ার্ল্ড কনজারভেশন কংগ্রেস ২০২৫-এর একাধিক উচ্চ-স্তরের অধিবেশনে এ বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। গত ৯ থেকে ১৫ অক্টোবর আবুধাবিতে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (সোমবার) বিমসটেক-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘হিমালয় ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চলের প্রতিবেশ রক্ষায় বিমসটেকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার এখন সময়ের দাবি।’
বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিবেশ সংরক্ষণ সম্মেলন হিসেবে খ্যাত এ কংগ্রেসে সারা বিশ্বের সরকার, বিজ্ঞানী, উন্নয়ন সহযোগী, ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী ও অংশীজনরা জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রকৃতিনির্ভর সমাধান বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
পাণ্ডে কংগ্রেসে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নদীর সদ্ব্যবহার: সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য দেন।
‘ভবিষ্যতের জন্য হিমবাহ: হিমবাহ ও পরবর্তী বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন। এছাড়াও ‘স্বাদু পানির চ্যালেঞ্জ: স্বাদু পানির বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিতকরণ’ অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে তিনি দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
তিনি পরিবেশ সংরক্ষণ, পার্বত্য অর্থনীতি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে বিমসটেকের চলমান কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করেন।
বিমসটেক মহাসচিব জানান, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে সংস্থাটি আইইউসিএন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড, ইউএনইপি, এডিবি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায়।
বিমসটেকের সদস্য দেশ হল—বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ আঞ্চলিক জোট কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, সংযোগ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন—এই সাতটি খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা পরিচালনা করে।
এছাড়া এটি ব্লু ইকোনমি, পার্বত্য অর্থনীতি, জ্বালানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, দারিদ্র্য নিরসন, স্বাস্থ্য এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন—এই আটটি উপখাতেও সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।