বাসস
  ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৯

নির্বাচন কমিশন আস্থা ধরে রেখে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ সারজিস আলমের

ছবি : বাসস

নওগাঁ, ৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আস্থা ধরে রেখে কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, শাপলা প্রতীকে আইনগত কোনো বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হয়েও অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ করছে, না হলে কারো চাপে পড়ে করছে, এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ মঙ্গলবার নওগাঁ সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এনসিপির জেলা ও উপজেলা সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, এনসিপি এককভাবে নির্বাচনে যাবে নাকি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হবে, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে যখন একাধিক রাজনৈতিক দল একই লক্ষ্যে এগোয়, তখন জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব হতে পারে। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

উপদেষ্টাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ যদি দায়সারা দায়িত্ব পালন করে শুধু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ‘এক্সিট’ নিতে চান, দেশে থাকুন বা দেশের বাইরে, তবে তা অভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। তাঁরা শহীদের রক্তের ভিত্তিতে ক্ষমতায় রয়েছেন। যদি এমন দায়িত্বহীন আচরণ করেন, তাহলে দেশের মানুষের সামনে মুখ দেখানো কঠিন হবে। যারা এ ধরনের চিন্তা করেন, তাঁদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো ‘সেইফ এক্সিট’ নেই। পৃথিবীর যেখানেই থাকুন, বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের খুঁজে বের করবে।

সারজিস আলম বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো সংস্করণ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি তা কখনোই মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন ‘জাতীয় লীগ’ নামে একটি দলকে নিবন্ধন দিতে উঠে পড়ে লেগেছে, অথচ তাদের কোনো কার্যকর কাঠামো নেই, টয়লেটের পাশে ছোট্ট একটি ঘর ছাড়া কিছুই নেই।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ভাইকে হারানো, অসুস্থ মা, সারা জীবনের স্মৃতি, যে ঘরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই প্রতিটি বিষয়ের সঙ্গে এনসিপির পক্ষ থেকে সহমর্মিতা থাকবে। আগামীর বাংলাদেশে আমরা আর এ ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না। এসব ঘটনার জন্য দায়ী আওয়ামী লীগ। সুতরাং স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের অর্থ বা সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে যেন আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেওয়া হয়।

সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমনসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।