শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): সার্ক কৃষি কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ থেকে ‘দক্ষিণ এশিয়ায় উদ্ভিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কৃষি জৈবনিরাপত্তা’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা শুরু হয়েছে।
ভার্চুয়াল এ কর্মশালায় সার্কভুক্ত দেশসমূহের বিশেষজ্ঞ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকেরা অংশ নিচ্ছেন। কর্মশালায় উদ্ভিদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সীমান্ত পেরিয়ে আসা জৈব হুমকি ও রোগবালাই মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির নানা দিক নিয়ে মতবিনিময় হচ্ছে।
উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার্ক ও বিমসটেক) আবদুল মোতালেব সরকার।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সুরক্ষায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. হারুনূর রশীদ অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, সীমান্ত অতিক্রমকারী কীটপতঙ্গ ও রোগবালাই থেকে ফসল রক্ষায় জৈবনিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি। কৃষিকে টেকসই ও নিরাপদ রাখতে একটি সমন্বিত আঞ্চলিক কৌশল প্রয়োজন। তিনি কারিগরি অধিবেশনের সভাপতিত্বও করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) ড. নাজমুন নাহার করিম। তিনি গবেষণা ও নীতিনির্ধারণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অতিথি ছিলেন নেপালের সার্ক সচিবালয়ের পরিচালক (এআরডি ও এসডিএফ) তানভীর আহমেদ তরফদার। তিনি নিরাপদ আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য অভিন্ন উদ্ভিদ কোয়ারেন্টাইন মানদণ্ড প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ভারতের আইসিএআর-এনবিপিজিআরের উদ্ভিদ কোয়ারেন্টাইন বিভাগের প্রধান বিজ্ঞানী ড. ভি. সেলিয়া চাল্লাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও উন্মুক্ত সীমান্তের কারণে গমের ব্লাস্ট, ফল আর্মিওয়ার্ম এবং পঙ্গপালের মতো নতুন রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বাড়ছে।
কর্মশালার উদ্দেশ্য ও কর্মসূচি তুলে ধরেন সার্ক কৃষি কেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (ফসল) ড. সিকান্দার খান তানভীর। তিনি জানান, এ কর্মশালা সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ, সম্ভাবনা ও সম্মিলিত উদ্যোগ নির্ধারণে একটি কার্যকর পরামর্শক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ, প্রারম্ভিক সতর্কতা ও নজরদারি ব্যবস্থা গড়ে তোলা, কৃষকদের মধ্যে সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (আইপিএম) বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সার্ক উদ্ভিদ স্বাস্থ্য বায়োসিকিউরিটি নেটওয়ার্ক গঠন, তথ্য বিনিময়ের রিয়েল-টাইম ব্যবস্থা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।