বাসস
  ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৯:৪৪

চিকিৎসার অবহেলায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকাল : জামায়াত আমীর

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন। তাঁকে কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।’ 

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমীর, মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। 

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। ওই অবস্থায় তাঁর সন্তান ও স্ত্রীকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। 

জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তাঁর জানাজা আদায় করতে দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদী জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে। অবশেষে তাঁর লাশ পিরোজপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। 

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মাঝে নেই। তিনি তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গিয়েছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশে কুরআনের তাফসির করেছেন। তার অসংখ্য বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে এবং মানুষ তাঁর রেখে যাওয়া বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হচ্ছেন। 

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে আল্লামা সাঈদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। তাঁর রচিত ইসলামী সাহিত্য, তাফসির ও সিরাত গ্রন্থ যুগ যুগ ধরে মানুষকে আলোর পথ দেখাবে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইসলামের দাঈ ও মুফাসসির তৈরি হয়ে তার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেবে, ইনশাআল্লাহ। 

তিনি বলেন, ‘আল্লামার প্রত্যাশা ছিল শাহাদাতের মৃত্যু। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করুন।’