বাসস
  ২২ জুলাই ২০২৫, ১৮:৩৬

ই-রিকশা চালকদের লাইসেন্স এবং প্রশিক্ষণ প্রদানে রিকশাচালকদের আইনগত ভিত্তি তৈরি হবে : এজাজ

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ফাইল ছবি

ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : রিকশা চালকদের লাইসেন্স এবং প্রশিক্ষণ প্রদানে রিকশাচালকদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আইনগত ভিত্তি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।

তিনি আজ সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসির ই-রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন।

এসময় মোহাম্মদ এজাজ প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন একযোগে ই রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা রিকশাচালকদের একটি আইনি কাঠামোর আওতায় আনতে চাই।

ডিএনসিসির এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে আজ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় রিকশা চালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে রাজধানীর পাঁচটি ভেন্যুতে একযোগে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

মহাখালীর ডিএনসিসি জোনাল অফিসে দুটি, মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে একটি, মিরপুর ১০ এবং উত্তরায় একটি করে ভেন্যুতে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রথম দিনে প্রায় ৬০০ ই-রিকশা চালক এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এরমধ্যে মহাখালীতেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ২৩৭ জন চালক। আগামীকাল থেকে এসব ভেন্যুতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলবে।

একদিনের এই প্রশিক্ষণ শেষে চালকদেরকে পাঁচ বছর মেয়াদি ডিজিটাল ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের নকশা অনুযায়ী ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টা ৩০ কিলোমিটার। তবে নির্দিষ্ট এলাকায় এই গতিসীমা ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রণীত ‘বৈদ্যুতিক থ্রি হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫ (খসড়া)’ অনুসারে, এই রিকশাগুলো শুধু পাড়া-মহল্লা ও গলিপথে চালানো যাবে, প্রধান সড়কে নয়।

পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি অঞ্চল ৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ উল মোস্তাক এবং ডিএনসিসির পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ জুন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া রিকশাচালকদের প্রশিক্ষকদের (টিওটি) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে ডিএনসিসি, যা নগর পরিবহণ ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনবে এবং নাগরিকদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করবে।