বাসস
  ১২ জুন ২০২৫, ১৭:৩৪
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ২০:৪৭

বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর ৫৮ দিনের অভিযানে ৯৯ কোটি টাকা মূল্যের মাছ ও জাল জব্দ 

ঢাকা, ১২ জুন, ২০২৫ (বাসস): সাগরে মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার সময় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অভিযানে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ মাছ ও জাল জব্দ করা হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।

মাছের বংশবিস্তার, বেড়ে ওঠা ও টেকসই আহরণের জন্য বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরার ওপর ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার।

আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশের জলসীমায়  মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই আহরণের লক্ষ্যে ‘মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম’ বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দেশের সমুদ্র সীমার অভ্যন্তরে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছের প্রজনন বৃদ্ধির নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দেশি-বিদেশি অবৈধ মৎস্য শিকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় নৌবাহিনী এ সময় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। 

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪টি যুদ্ধ জাহাজ এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বোট বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ও  উপকূলীয় অঞ্চলে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত ছিল। এছাড়াও নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট্-এর মাধ্যমে প্রতিদিন সুবিশাল বঙ্গোপসাগরে বেআইনি মৎস্য শিকার প্রতিহত করতে তীক্ষ্ম নরজদারী করে নৌবাহিনী। 

‘মংস্য আহরণ নিষিদ্ধকরণ কার্যক্রম-২০২৫’ চলাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৭৫টি অপারেশন পরিচালনা করে। এর মাধ্যমে সর্বমোট ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ১১০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২ হাজার ৭৪৪ টি বিভিন্ন ধরনের অবৈধ জাল, ৫০৫ জন জেলেসহ ৫৭ টি বোট এবং ১৬ হাজার ৩২৮ কেজি মাছ জব্দ করতে সক্ষম হয়। জব্দকৃত সরঞ্জামাদি ও মাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। আটককৃত এসব অবৈধ জালসমূহ স্থানীয় প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয় এবং জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মাছ ধরার নৌকা ও জেলেদের স্থানীয় প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। 

উল্লেখ্য, অভিযান পরিচালনাকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রজনন মৌসুমে ইলিশসহ সকল মাছ আহরণ নিষিদ্ধ সংক্রান্ত সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন ও গণসচেতনতা সৃষ্টিতে স্থানীয় প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে। নৌবাহিনীর এই অভিযানের ফলে দেশের সমুদ্রসীমায় ও অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে মৎস্য সম্পদের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।