শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : বিভিন্ন ডিপোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং জাহাজের নাবিকদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজশে আমদানী করা রাষ্ট্রীয় জ্বালানী তেল চুরি করে বিক্রয় করে আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আজ মঙ্গলবার একটি এনফোর্সমেন্ট টিম বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের ঢাকার লিয়াঁজো অফিসে এই অভিযান চালায় । অভিযানকালে রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, ৩ টি প্রতিষ্ঠানের (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা) মাধ্যমে আমদানিকৃত তেল ডিপোতে হ্যান্ডলিং ও সরবরাহ করা হয়।
আমদানি থেকে ভোক্তা পর্যায়ের বিভিন্ন স্তরে সরবরাহ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে আমদানি ও সরবরাহ সংক্রান্ত তথ্যাদি ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহের জন্য চাহিদাপত্র প্রদান করা হয়েছে। তথ্যাবলি প্রাপ্তিসাপেক্ষে বিশ্লেষণ করে টিম কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা প্রদানে অনিয়মসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়।
টিম বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরেজমিনে পরিদর্শন করে। আউটডোর এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে রোগীদের ওষুধ, খাবার এবং চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে।
অভিযানকালে ছদ্মবেশী টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সকাল ৯ থেকে ১১ টা পর্যন্ত উপস্থিত দেখতে পাননি, যারা টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাজির হন।
অভিযানকালে টিম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন রেজিস্টার যাচাই করতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অধিকাংশ রেজিস্টার প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হন। এছাড়াও ওয়ার্ড বয়/নার্স দ্বারা ক্যাজুয়ালটি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে বলে অভিযানকালে টিম দেখতে পায়।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অনিয়মসমূহ জানানো হলে তিনি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ভূমি সংক্রান্ত সেবা প্রদানে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি ও ঘুষ দাবি করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান চালায়।
টিমের সদস্যরা প্রথমে সেবাগ্রহীতার ছদ্মবেশে অফিসের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। অভিযানকালে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নামজারি, খাজনা বাবদসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের জন্য সরকারি নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা গ্রহনের প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়।
এছাড়াও অভিযানকালে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করার অভিযোগের সত্যতা টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্রের আলোকে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।