শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পাওয়া জামায়াতে ইসলামির নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম আগামীকাল সকালে মুক্তি পেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
এ টি এম আজহারের পক্ষে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, ‘ইনশাল্লাহ আশা করি আগামীকাল সকালে ৯টা থেকে ১০ টার মধ্যে এ টি এম আজহারুল ইসলাম পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পাবেন।’
জামায়াতের এই নেতা বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন। আজহারুল ইসলামের খালাসের রায়ের সংক্ষিপ্ত আদেশে তাকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির সাক্ষরের পর তিন পাতার সংক্ষিপ্ত আদেশ আজই প্রকাশিত হয়েছে। যে আদেশে বলা হয়েছে যে, অন্য কোনো মামলা বা আইনি কার্যক্রমের কারণে আটক রাখার প্রয়োজন না হলে, তাকে অবিলম্বে জেল হেফাজত থেকে মুক্তি দিতে বলা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল মঞ্জুর করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের রায় বাতিল করে আজ সকালে রায় ঘোষণা করেন। ফলে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান এ টি এম আজহারুল ইসলাম। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে কোনো আসামি আপিল বিভাগের রায়ে এই প্রথম খালাস পেলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর এ টি এম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আবেদন করেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে হওয়া মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন মহলের অভিযোগ ছিল। রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতেই রাষ্ট্র যন্ত্র ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ওই বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলে দাবি ছিল অনেকের। সে সময় বিচারপতির স্কাইপি কেলেঙ্কারি, আসামিপক্ষের সাক্ষী গুমের ঘটনা বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে উঠা প্রশ্নকে আরো প্রাসঙ্গিক করে তুলে।