শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ মে, ২০২৫ (বাসস): এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরেই হবে, না জুনে এই বিতর্কের সমঝোতা ভিত্তিক সমাধান চেয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। তবে আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেন নির্বাচনটা করা যায়। এ সময়ের মধ্যেই যেন তারা নির্বাচনের বিষয়টি ভাবেন।
আজ সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে তাঁর বাসভবন যমুনায় এক বৈঠকে অংশগ্রহণের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আমরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছি আপনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করতে চান। কারণ বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে আপনার স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে তাতে আপনি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাক্ষাতে আমরা আপনাকে বলেছিলাম আপনার এই দায়িত্ব খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং এতে ব্যর্থ বা পরাজিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনি তাতে সাঁয় দিয়েছিলেন এবং সকলের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছিলেন। আমরা বিনয়ের সাথে জানিয়েছিলাম বাস্তব কারণে আপনার সাথে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্কের অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে, এক্ষেত্রে একটি সমন্বয় টিম গঠন করা দরকার যারা শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা-সমন্বয় ইত্যাদি গুরুদায়িত্ব পালন করবেন। এই সমন্বয় টিম গঠিত না হওয়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত: নির্বাচন ডিসেম্বরে করতে কি সমস্যা? অনিবার্য কারণে জুন পর্যন্ত সময় লাগলেই বা অসুবিধা কী? অন্তর্বর্তী সরকার ও বিএনপির কাছে জনগণ এর ব্যাখ্যা জানতে চায়! আশা করি উভয় পক্ষ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দেবেন।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ শক্তিগুলোর পরস্পর স্বার্থকেন্দ্রিক অনৈক্য, মতাদর্শগত বিরোধ এবং পারস্পরিক বাকবিতণ্ডা এবং ব্লেমগেমও সরকারের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়েছে। এমতাবস্থায় শুধু আহ্বান, আনুষ্ঠানিক বৈঠক বা আশা পোষণ জাতীয় বিবৃতি দিয়ে এ সংকটের সমাধান হবেনা। কাঁদা ছোড়াছুড়ি ও পরস্পর দোষারোপ পরিস্থিতিকে আরও সংকটাপন্ন করে তুলবে।
তিনি বলেন, বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সঠিক উপলব্ধি, ছাড় দেয়ার মনোভাব প্রদর্শন, ইগো পরিত্যাগ ও সমঝোতামূলক পদক্ষেপই উত্তম সমাধান। সরকারের নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনে কঠোর কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সকলের ঐকমত্যে গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র ও জাতীয় সনদ তৈরি করা প্রয়োজন।
নির্বাচন, সংস্কার ও ফ্যাসিবাদী-খুনীদের বিচারের একটি রোড ম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বাংলাদেশে অবস্থানরত উর্দু ভাষাভাষী মানুষদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া উপস্থাপন করে বলেন, দীর্ঘ সময় তারা দেশে অবস্থান করলেও সরকারের বিভিন্ন সুযোগ থেকে বঞ্চিত। এ বিষয়ে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।