শিরোনাম
খুলনা, ২৫ মে ২০২৫ (বাসস) : দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কমিশনার (অনুসন্ধান) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ বলেছেন, দুর্নীতি এখন ঘরে ঘরে পাড়ায় পাড়ায়, কারণ গত ১৬ বছর দেশে দুর্নীতির চাষাবাদ হয়েছে।
আজ রোববার খুলনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত কোন গণশুনানি অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আলি আকবার আজিজী বলেন, 'জনগণের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন হয়। যাদের টাকায় আমাদের বেতন হয়, আমরাই আবার তাদের প্রভু সেজে যাই। সরকারি কর্মচারীরা আল্লাহর দেয়া যোগ্যতার সম্পূর্ণ ব্যবহার করে ইমানদারির সাথে নাগরিকদের সেবা দিতে দায়বদ্ধ। যে সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করে, সে জ্ঞানত অন্যায় করতে পারে না।'
তিনি বলেন, 'আমরা নিজ নিজ অবস্থানে প্রত্যেকেই বিচারক। যদি আমরা আমাদের পরিবারে নিজের আয়ের চেয়ে বেশি উপহার বা তৈজসপত্র দেই তবে সন্তানদের সামনে কীভাবে জবাবদিহি করবো। নিজে সৎ থাকবো এবং পরিবারকে সৎ পথে রাখবো।'
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তিনি বলেন, হতাশ হবে না, পরিবারকে যেমন সেবা করতে হবে, তেমনি লব্ধ জ্ঞান প্রজাতন্ত্রের কাজে ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে উদ্যোক্তা হতে হবে।
সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা সবাই দুর্নীতি বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, একই সাথে মানসম্মত সেবা প্রদানের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ। এসময় বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, দুদকের মহাপরিচালক(প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন, পুলিশের খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার ও পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বক্তৃতা করেন।
গণশুনানিতে খুলনা সদরে অবস্থিত সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, বিশিষ্ট নাগরিক ও অভিযোগ উত্থাপনকারী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বো আগামীর শুদ্ধতা’ এই স্লোগান নিয়ে খুলনা মহানগরে সেবা বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার নাগরিকদের অভিযোগ সরাসরি শুনতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুদক। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা অনুষ্ঠানে তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক তদন্ত করার নির্দেশ বা উপযুক্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।