বাসস
  ০৭ মে ২০২৫, ১৬:৫৫

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা নাহিয়ানের পাশে জামায়াত নেতা ড. মাসুদ

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা নাহিয়ানের পাশে জামায়াত নেতা ড. মাসুদ। ছবি: বাসস

পটুয়াখালী, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা তাহসিন হোসেন নাহিয়ানের পাশে থাকবেন বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। 

নাহিয়ানের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি তার পূর্ণ সুস্থতা পর্যন্ত চিকিৎসাসেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। নাহিয়ানের পাশে সাধ্যমতো থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন জামায়াতের এই নেতা।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামের নিরব হোসেনের একমাত্র ছেলে তাহসিন হোসেন নাহিয়ান (১৫) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। উন্নত চিকিৎসার অভাবে কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে তার। জুলাইযোদ্ধা নাহিয়ানের বর্তমানে থাইল্যান্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বাসস’কে নাহিয়ানের বাবা নিরব হোসেন জানান, নাহিয়ান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন। সে মোহাম্মাদপুর গভর্নমেন্ট হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত বছরের ৪ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ হয়। ওইদিন ঢাকা মেডিকেলে অপারেশন করে গুলি বের করা হলেও তার কোমর থেকে শরীরের নিম্মাংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়।

তিনি বলেন, স্পাইনাল কর্ডে আঘাত লাগায় তার শরীরের নিচের অংশে কোনো অনুভূতি নেই। পায়খানা প্রসাব করার অনুভূতিও তার নেই। ৪ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট ১৭ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২১ আগস্ট থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরে সাভারের সিআরপি হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে আশানুরুপ উন্নতি না হওয়ায় এখন সরকারিভাবে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

নাহিয়ানের বাবা রাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার মতো গরীব মানুষের একমাত্র ছেলেকে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আমি আমার ছেলের সুস্থতা চাই। তবে দেশের চাইতে এখানে বেটার চিকিৎসা হচ্ছে। শারীরিক উন্নতি হচ্ছে নাহিয়ানের।

নাহিয়ানের বাবা, জামায়াত নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি দফায়-দফায় তাদের এই বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন। বারবার ছুটে গেছেন হাসপাতালে।