বাসস
  ০৪ মে ২০২৫, ২০:০৪

চিকিৎসা পেশা কেবল চাকরি নয়, একটি নৈতিক দায়িত্ব : স্বাস্থ্য শিক্ষা ডিজি

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : চিকিৎসা পেশা কেবল চাকরি নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল হোসেন। 

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের (বিএসএনএস) তিনদিন ব্যাপী চতুর্থ অন্তর্বর্তী সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ডা. নাজমুল হোসেন বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও চিকিৎসকরা নিউরোসার্জারিসহ জটিল চিকিৎসা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা পেশা কেবল চাকরি নয়, এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। দলমত নির্বিশেষে সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করাই একজন চিকিৎসকের প্রকৃত পরিচয়।

তিনি বলেন, নিউরো অ্যান্ড স্পেইন সার্জারিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চিকিৎসা শিক্ষা এবং চিকিৎসা সেবা উন্নত করার জন্য সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আশা করি, একসময় দেশের চিকিৎসাখাত আধুনিক হবে এবং মানুষের আস্থা ভরসায় পরিণত হবে।

চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেল শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পাঠদান করেন, যা ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গঠনে সহায়ক হবে। দল মত নির্বিশেষে সবাইকে সেবার দেয়ার মন মানসিকতা থাকতে হবে চিকিৎসকদের। রোগীকে সেবা দেয়া চিকিৎসকের নৈতিক দায়িত্ব।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, এ দেশের প্রেক্ষাপটে চিকিৎসা ব্যয় কমানো গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক একটি জার্নালে দেখা গেছে, এ দেশের এক শতাংশ সার্জারি রোগী ভিক্ষা করে টাকা আনে। ১২ শতাংশ রোগী টাকা আনে চক্রবৃদ্ধি সুদে। তারা সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করা ছাড়া কোনো দিনই সেই টাকা শোধ করতে পারে না। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, চিকিৎসা খরচ বহন করতে গিয়ে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ লাখ মানুষ গরিব হয়ে যায়।

তিনি বলেন, এ দেশের জনসংখ্যা বিশাল। ফলে রোগীও প্রচুর। অনেক উন্নত দেশে আধুনিক যন্ত্রপাতি আছে, কিন্তু রোগী কম। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র আলাদা। সে হিসেবে আমাদের এই খাতে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া বাকি।

সভায় জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহত শহীদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। সেইসঙ্গে অনুষ্ঠানে সোসাইটির পক্ষ থেকে বৈজ্ঞানিক সম্মেলন, লাইভ সার্জারি, থ্রিডি অ্যানাটমি সেশন এবং অ্যান্ডো ভাস্কুলার সিমুলেশন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনসের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক, সদস্যসচিব ডা. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান খান এবং অর্ন্তবর্তী সভা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ডা. মাঈনুল হক সরকারসহ দেশি-বিদেশি ৩০০ জনের অধিক নিউরোসার্জন উপস্থিত ছিলেন।