বাসস
  ০৪ মে ২০২৫, ১৮:৪২

দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং মামলায় ৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ দুদকের

ঢাকা, ৪ মে, ২০২৫ (বাসস): দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত মামলায় দাখিলকৃত মিথ্যা সম্পদ বিবরণী প্রদান, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা হস্তান্তরের অভিযোগে দিলরুবা আলী ও তার স্বামী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্কেল-৬ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার আলীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)।

আজ রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিয়মিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদক জানায়, আসামি দিলরুবা আলী তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ২৬ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য দেন। কিন্তু তদন্তে তার নামে পাওয়া যায় ৭ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৫ টাকার সম্পদের তথ্য। অর্থাৎ, তিনি প্রায় ৪ কোটি ১ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।

তদন্তে আরও উঠে আসে, তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ ১ কোটি ৮৯ লাখ ৪৯ হাজার ১১৫ টাকা। সে হিসেবে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এই সম্পদের উৎস সম্পর্কে কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে না পারায় তা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

দুদক জানায়, দিলরুবা আলীর স্বামী স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সার্কেল-৬ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার আলী তার অসাধু উপায়ে অর্জিত অর্থের মাধ্যমে স্ত্রীকে অবৈধ সম্পদের মালিকানা অর্জনে সহযোগিতা করেছেন বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়েছে। 

একইসঙ্গে, দিলরুবা আলীর ভগনিপতি মো. মিজানুর রহমান বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের বাইরে সম্পদ অর্জন এবং তা বৈধ দেখিয়ে মানিলন্ডারিংয়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তদন্ত শেষে দুদকের তদারককারী কর্মকর্তা তদন্ত কর্মকর্তার মতের সঙ্গে একমত পোষণ করে তিন আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট দাখিলের সুপারিশ করেছেন।

দুদকের অনুমোদন সাপেক্ষে চার্জশিট শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।