শিরোনাম
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): শ্রমিকের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয় আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একক ও সেক্টরভিত্তিক জাতীয় মানদণ্ড প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার, মালিক, শ্রমিক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন গত সোমবার তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করে তারা।
কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা, আপদ চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়া এবং পরিবেশগত বিষয় অন্তর্ভুক্তিকরণে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একক ও সেক্টরভিত্তিক জাতীয় মানদণ্ড প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সরকার, মালিক, শ্রমিক ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা। প্রতিটি কারখানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা নীতি ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি নিয়মিত মূল্যায়ন ও প্রতিবেদন প্রদানের ওপর গুরুত্ব দেয়া। রাসায়নিক ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত ঝুঁকি, এবং বিপজ্জনক কাজের হালনাগাদ তালিকা চেকলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা।'
রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা ও পরিদর্শনের জন্য সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নির্ধারণ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় একটি গাইডলাইন তৈরি করার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি, সেক্টরভিত্তিক মানদণ্ড বাস্তবায়নে এসওপি তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে সুপারিশে।
সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, ‘শ্রম আইনে পেশাগত রোগ-ব্যাধির তালিকা আধুনিক প্রযুক্তি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের প্রেক্ষাপটে হালনাগাদ করে কোভিডসহ নতুন সংক্রামক রোগ অন্তর্ভুক্ত করা। মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য, অতিরিক্ত শ্রমঘন্টাজনিত রোগ এবং নারী শ্রমিকদের কাউন্সেলিং সুবিধা আইনে সংযোজন করা। রোগ শনাক্ত ও প্রতিবেদন প্রক্রিয়া সহজতর করা।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিআইএলএস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি শ্রম সংস্কার কমিশন গঠন করে। কমিশন শ্রম বিষয়ে অংশীজন ও বিভিন্ন সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিনিময় করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করে।