শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন কূটনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সাবেক স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর অবদান জাতির কাছে চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, ‘হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন দক্ষ কূটনীতিক, আমলা ও রাজনৈতিক ... তাঁর কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।’ বঙ্গভবনে ধারণকৃত সিলেটে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় রাষ্ট্রপতি আজ একথা বলেন।
আজ সন্ধ্যায় সিলেটের উপশহর জালালাবাদে ‘স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ’ আয়োজিত প্রয়াত চৌধুরীর জন্মবার্ষিকীর এই আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট সকলকে তাঁর জীবনাদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, এতে তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন প্রজন্ম তাদের জীবনকে মহিমান্বিত করে গড়ে তুলতে পারবে। রাষ্ট্রপতি হামিদ দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার সুবাদে, কাছ থেকে দেখা মরহুম চৌধুরীর বিভিন্ন কর্মকান্ডেরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বরেণ্য কূটনীতিকের পাশাপাশি জনাব চৌধুরী ছিলেন একজন আদর্শ ও আধুনিক গণতান্ত্রিক মতবাদের অনুসারী ও প্রবক্তা।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদকে ক্ষমতায়ন ও শক্তিশালীকরণ এবং সরকারি প্রশাসনিক কার্যক্রমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব চালুর মাধ্যমে, তাঁর ইতিহাস সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে বলেন, এছাড়াও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত শক্তিশালী সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন এবং মন্ত্রীর পরিবর্তে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে কমিটির সভাপতি নিয়োগের মতো বিষয়ে, জাতীয় সংসদে বেশ কিছু যুগান্তকারী পদ্ধতির প্রবর্তন করেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, একজন কূটনীতিক হিসাবে ‘বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে, তিনি অসীম সাহসিকতায় পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করে, জনমত গঠন ও বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য ৪০ টিরও বেশি রাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছিলেন’।
তিনি বলেন, স্পীকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী ছিলেন একজন ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৭২ সালে জার্মানিতে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। লোভ, মোহ কিংবা জীবনের ঝুঁকি কিছুই তাকে ন্যায়পরায়নতা ও আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরে, দূরদর্শী ও কুশলী কুটনীতিক হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর কন্যাদের নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের কথা চিন্তাকরে দিল্লীতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি হামিদ মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।