বাসস
  ০১ আগস্ট ২০২১, ১৭:৫৯

বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে অতিবাহিত শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন

ঢাকা, ১ আগস্ট, ২০২১ (বাসস) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন আলোর মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন।  
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের এ মাসের পনের তারিখে বাঙালি হারিয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিনটির প্রথম প্রহরেই শনিবার রাত ১২ টা ১ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু স্মুতি জাদুঘর অভিমুখে আলোর মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। একই কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগও। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির সামনে সংগঠন দুটির নেতা-কর্মীরা প্রজ্বলিত মোমবাতি হাতে জড়ো হন। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা। আলোর মিছিলে নেতৃত্ব দেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। এ সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শোকের মাসের প্রথম দিন আজ যুবলীগের পক্ষ থেকে মাসব্যাপী কোরআন  খতম শুরু হয়েছে। এছাড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়। কৃষক লীগের উদ্যোগে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ত দান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।   
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পাদদেশে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট বঙ্গবন্ধু স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে প্রজ্জ্বলিত স্বাধীনতার দীপশিখা অনন্তকাল ধরে জ্বলবে। 
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিনী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। 
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা তখন বিদেশে থাকায় বেঁচে গেলেও ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড ছুঁড়ে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল  সেই সময়ে বিরোধী দলের নেতা , আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ভাগ্যক্রমে সেদিন তিনি বেঁচে গেলেও এই ঘটনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী, আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন।
শোকাবহ আগস্ট পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বাস্থবিধি মেনে মাসবাপী কর্মসূচি পালন করবে।
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়