বাসস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৯

হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে 

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র উসমান হাদির উপর ন্যক্কারজনক হামলাকারীদের গ্রেফতার করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

গত শুক্রবার রাজধানীর পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট ডিয়ার টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেল আরোহী কতিপয় দুর্বৃত্ত উসমান হাদির ওপর চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।   

তিনি আজ রবিবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। 

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ইতোমধ্যে দুজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরা হলো ফায়সাল করিম মাসুদ এবং মো. আলমগীর শেখ। 

ঘটনার তদন্তে জানা গেছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা হেলমেট পরিহিত অবস্থায় ভিকটিম উসমান হাদিকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন ও শনাক্তকৃত সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান রয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা যেন সীমান্ত পার না হতে পারে সেজন্য তাদের পাসপোর্ট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতারে সহযোগিতা দেয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শেরপুরের নলিতাবাড়ি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সীমান্ত দিয়ে লোক পারাপার করার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আমরা দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতারকৃতরা হলো সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম। এছাড়া র‌্যাব সন্দেহভাজন মো. আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করে পল্টন থানায় হস্তান্তর এবং হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা নিকটস্থ থানায় অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ আন্তরিকভাবে কাজ করছে। 

হামলাকারীদের বিদেশে পালানোর কোন তথ্য পুলিশের কাছে নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত তাদের পালিয়ে যাওয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। আমরা ফয়সালের পাসপোর্ট নাম্বারটা পেয়েছি। তার সর্বশেষ ট্রাভেল বিবরণ অনুযায়ী তিনি জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছে। এরপরে ইমিগ্রেশন ডাটাবেজে আর তার ডিপার্চারের কোন তথ্য নেই। আমরা বিজিবিকে সতর্ক করেছি যে, সীমান্ত দিয়ে যেন কেউ ওপারে যেতে না পারে। বিজিবি সতর্ক আছে এবং আমাদের সকল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার পাসপোর্ট ব্লক করা আছে।